প্রাচীন এবং সমসাময়িক ইতিহাস বিকৃত করছে বিজেপি। শাসক দল এবং ক্ষমতাসীন নেতাদের বিরুদ্ধে এদিন এই অভিযোগই করলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সোনিয়া অভিযোগ করেন, বিভাজনকারী এবং মেরুকরণের নীতি রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে বিজেপির। এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে সোনিয়া আরও সতর্ক করেন যে কেন্দ্রের সম্পদ নগদীকরণ প্রকল্পটি বিমুদ্রকরণের (নোটবন্দী) মতো একটি ‘বিপর্যয়’ প্রমাণিত হবে।
সোনিয়া এদিন কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠকে বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দল এবং এর নেতাদের বিভাজন ও মেরুকরণের নীতি এখন রাষ্ট্রের পর রাজ্য স্তরের রাজনৈতিক আলোচনার একটি নিয়মিত বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে। আমাদের সকলের দাঁড়িয়ে উঠে এই ঘৃণা এবং কুসংস্কার ছড়িয়ে দেওয়া শক্তির মোকাবিলা করতে হবে। তাদের মৈত্রী ও সম্প্রীতির বন্ধনকে নষ্ট করতে দেব না আমরা। এটা আমাদের বৈচিত্র্যময় সমাজকে কয়েক শতাব্দী ধরে টিকিয়ে রেখেছে এবং সমৃদ্ধ করেছে।’
সোনিয়া গান্ধী আরও দাবি করেন যে ইউক্রেন থেকে ফেরত আসা ভারতীয় ছাত্রদের ভবিষ্যত সরকারকে সুরক্ষিত করতে হবে। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন থেকে ফিরিয়ে আনা হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিশ্চিত করা দরকার। এবং দেরি না করে শীঘ্রই দেশের চিকিৎসা শিক্ষার আকাশছোঁয়া ব্যয় কমাতে হবে।’
এদিন বৈঠকে ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা সর্বভারতীয় সাধারণ ধর্মঘটের কথা উল্লেখ করে সোনিয়া বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব এবং জীবিকা নির্বাহের নিরাপত্তাহীনতার সময়ে শ্রম আইনগুলিকে শিথিল করা হয়েছে। কর্মচারীদের প্রোভিডেন্ট ফান্ডের সুদের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা হয়েছে। পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজগুলি তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতিদের কর্মসংস্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। সেগুলিকে ‘সম্পদ নগদীকরণ’-এর নামে বিক্রি করা হচ্ছে। এটা আরও একটি বিপর্যয়ে পরিণত হতে চলেছে।’