ফের নিন্দার মুখে মোদী সরকার। অব্যাহত সংবাদমাধ্যমের প্রতি আক্রমণ। নিরপেক্ষ সংবাদমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের কেন এত ভয় পান মোদী এবং তার সরকার? মোদীর সাংবাদিক-ভীতির কারণেই কি আজ আটক হতে হল রানা আয়ুবকে? নানান মহলে উঠছে প্রশ্ন। স্বার্থসিদ্ধির জন্য ফের একবার কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দলদাস হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। আজ লন্ডন যাওয়ার আগেই মুম্বইয়ে আটক হলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক রানা আয়ুব৷ আর্থিক তছরূপের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আধিকারিকেরা তাঁকে আটক করেন৷ আর্থিক অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ইডির তরফে রানা আয়ুবের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার লন্ডনে যাওয়ার জন্য মুম্বই বিমানবন্দরে উড়ানে ওঠার আগেই তাঁকে আকট করেন ইডি আধিকারিকরা৷ এক ইডি আধিকারিকের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি। এরপরই লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়। প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে সাংবাদিক রানা আয়ুবের ১.৭৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)। কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে অভিযোগ করা হয়, রানা আয়ুব পূর্ব পরিকল্পিত উপায়ে সাধারণ মানুষের জন্য পাঠানো টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন।
আটক হওয়ার পরই ক্ষোভ উগরে দিলেন রানা আয়ুব৷ তিনি টুইটে লেখেন, “লন্ডনে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর জার্নালিস্টস-এ একটা অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে যাচ্ছিলাম। সেখান থেকে ইটালি যাওয়ার কথা ছিল। ইটালিতে জার্নালিজম ফেস্টিভ্যালে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানে ভারতীয় গণতন্ত্রের উপর আমার বক্তব্য রাখার কথা ছিল, কিন্তু তার আগেই আমাকে আটকে দেওয়া হল।” রানা আয়ুব আরও একটি টুইটে লেখেন, “আমার যেসব অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল, সেই অনুষ্ঠানগুলোর খবর কয়েক সপ্তাহ ধরেই আমার বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রোফাইলে দেওয়া রয়েছে। কিন্তু বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের সময় আমায় আটকানোর পর আমি ইডির সমনের মেল পেলাম। এতো ভয় কীসের?”