তৃতীয়বার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম পাহাড় সফরে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তাঁর সফরের দ্বিতীয় দিন। মঙ্গলবার পাহাড়ি রাস্তায় প্রায় ১৫ কিলোমিটার হাঁটলেন তিনি। ৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পায়ে হেঁটে ঘুরলেন পাহাড়ের অলিগলি। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বললেন।
প্রসঙ্গত, রবিবার শিলিগুড়িতে সভা করে সোমবার পাহাড়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন যখন পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটছেন তিনি, তখন পাশেই এক শিশুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তার অভিভাবক। বাচ্চাটিকে দেখেই কোলে তুলে নেন মমতা। আদর করেন, চুমুও খান। তিন মাসের সেই শিশুকন্যাকে নাম ধরে ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী, শেষে তার মায়ের হাতে গুঁজে দেন উপহার।
বাচ্চাটিকে কোলে নিয়েই তার যত্ন নেওয়ার জন্য অবনির মা’কে পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, গলায় মাফলার জড়িয়ে রাখতে হবে, নাহলে ঠান্ডা লেগে যাবে। এমনকী অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে তিনি এই প্রশ্নও করেন, ‘ওকে কাজল পরান না?’
এছাড়া পাহাড়ি রাস্তায় এক বৃদ্ধার সঙ্গেও কথা বলতে দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রীকে। বয়সের ভারে যাঁর কাঁধ ঝুঁকে পড়েছে। চড়াই রাস্তায় হাঁটতে বেশ কষ্টই পেতে হচ্ছিল ওই বৃদ্ধাকে। দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে থাকা আধিকারিকদের বলেন ওঁর জন্য একটা বেল্টের ব্যবস্থা করে দিতে, তাহলে হাঁটতে একটু আরাম হবে।
এছাড়া এদিন পাহাড়ের দোকানে ঢুকে জিনিসপত্র ঘেঁটে দেখেন মমতা। আধিকারিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘৩০ পারসেন্ট ছাড় দিচ্ছে, কার কী কেনার আছে কিনে ফেলো। চৈত্র সেল চলছে।’ তিনি নিজেও কিছু জামাকাপড় কিনেছেন বলে খবর।
দার্জিলিং রাজভবনের সামনে এদিন মুখ্যমন্ত্রী পুলিশের মহিলা ব্রিগেড বা উইনার্স টিমের মহড়াও দেখেন। সূত্রের খবর, রাজ্যে আরও একটি এমন উইনার্স টিম তৈরি হতে চলেছে।