এবার কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা দুদিনের ধর্মঘট রুখতে রাজ্যে কড়া ব্যবস্থা নিল নবান্ন। ওই দুদিন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সমস্ত ছুটি বাতিল বলে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। শুক্রবার এক সার্কুলারে বলা হয়েছে ২৮ এবং ২৯শে মার্চ রাজ্য সরকারের সমস্ত অফিস খোলা থাকবে, খোলা থাকবে আধা সরকারি সমস্ত প্রতিষ্ঠানও। ওই দুদিন কোনও সরকারি কর্মচারী ক্যাজুয়াল লিভ বা অন্য কোনও ধরনের ছুটি নিতে পারবেন না। ওই দুদিন কর্মক্ষেত্রে কেউ অনুপস্থিত থাকলে তা ‘ডায়াস নন’ বলে বিবেচিত হবে। সেক্ষেত্রে অনুপস্থিত কর্মচারীদের বেতন কাটা যাবে।
ওই সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে শুধুমাত্র কেউ হাসপাতালে থাকলে, বাড়িতে অপ্রীতিকর কিছু ঘটলে, গুরুতর অসুস্থ হলে ছাড় মিলবে। এছাড়া যাঁরা ম্যাটারনিটি লিভ, চাইল্ড কেয়ার লিভ কিংবা আর্নড লিভে আছেন, ছাড় পাবেন তাঁরাও। ২৫শে মার্চের আগে সেই ছুটির অনুমোদন পেতে হবে।
উল্লেখ্য, সার্কুলারের কড়া নির্দেশ ২৮ এবং ২৯ মার্চ কোনও সরকারি কর্মচারী অনুপস্থিত থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাঁকে শোকজ করবেন। সন্তোষজনক জবাব পেলে তার সমর্থনে প্রমাণ দাখিল করতে হবে। শোকজের জবাব না দিলে, শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই দুদিন জনজীবন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক থাকবে। পুলিস জানিয়েছে, জোর করে বনধ বা ধর্মঘটের চেষ্টা হলে তা রোখা হবে। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যে কোনও বনধ বা ধর্মঘটের বিরোধিতা করে আসছে। ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূলও গত ১১ বছরে কোনও বনধ ডাকেনি। সরকারের এই নীতিকে আম জনতাও স্বাগত জানিয়েছে। অতীতেও বিরোধীদের ডাকা বনধে তৃণমূল সরকার জনজীবন স্বাভাবিক রাখার জন্য সবরকমের পদক্ষেপ করেছে। তখনও সরকারের তরফ থেকে জারি করা হয়েছিল এইরকম কড়া নির্দেশিকা।