২৫ মার্চ। ইতিহাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এটি দিন। দেশ স্বাধীন হয়, নতুন সভ্যতা এগিয়ে চলে নতুন নেতৃত্বে। কিন্তু ভয়ঙ্কর অতীত অনেক সময়েই যেন স্তব্ধ করে দেয় ইতিহাসকে। যেমন ঠিক ৫১ বছর আগের একটি দিন। বর্ষীয়ান বাংলাদেশিদের ঠিক ৫১ বছর আগের সেই দিনের কথা মনে আসলে শিউরে উঠতে হয়। ইতিহাস সেই কুখ্যাত অধ্যায়কে মনে রেখেছে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ হিসেবে।
‘অপারেশন সার্চলাইট’ বর্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের দ্বারা অত্যাচারের সেই ভয়ঙ্কর দিনের কথা মনে করায়। যখন স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা বাংলাদেশিদের উপর গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল। সেই রাতে ঠিক কত জনকে খুন করা হয়েছিল, তার সঠিক সংখ্যা পাওয়া যায়নি। কিন্তু ইতিহাসবিদরা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ১০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার মানুষকে স্রেফ নিকেশ করে দেওয়া হয়েছিল।
এই অপারেশন সার্চলাইটের আগে তৎকালীন পাকিস্তানি রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান পালিয়ে লাহোর চলে গিয়েছিলেন আর ঢাকার কন্টিনেন্টাল হোটেল থেকে পুরো অত্যাচার সংঘটিত করেছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান জুলফিকার আলি ভুট্টো।
পরের দিন অর্থাৎ ২৬ মার্চের সকালে জুলফিকার আলি ভুট্টো ঢাকা ছাড়ার আগে পাক সেনার প্রশংসা করে যান। তবে এত কিছু করেও কি পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের আটকাতে পেরেছিল পাক হানাদাররা? ইতিহাসের অদ্ভুত পরিহাস, ওই ১৯৭১ সালের শেষেই স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়।
আজ শুধু বাংলাদেশি রা নন, সারা বিশ্বের মানুষ শ্রদ্ধা জানান সেই সমস্ত মানুষকে, যাঁরা ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর অমানবিক অত্যাচারে প্রাণ হারিয়েছিলেন। এই গণহত্যা সারা বিশ্ব কখনো ভোলেনি, ভুলবেও না!