ফের পৈশাচিক নারী নির্যাতনের ঘটনা সামনে এল দেশে। এবার বিহারে এই নক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে যে, বিহারের মধ্যপুরা জেলার সদর থানার তুলসীবাড়ি গ্রামে এক মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল বেশ কয়েকজন যুবক। তারপরেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটাতে ব্যর্থ যুবকরা ওই মহিলাটির ‘চরিত্রের’ ওপর প্রশ্ন তুলে তাঁকে মারধর করে।
গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতেই এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি ঘটে। এমনকি, কেউ তাঁকে সাহায্য করতেও এগিয়ে আসেন নি। আপাতত সদর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ওই মহিলাটির। পাশাপাশি, তিনি সদর থানায় আবেদন করে সমগ্র ঘটনাটির বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন।
এই প্রসঙ্গে নির্যাতিতা জানিয়েছেন যে, গত ১৯ মার্চ রাতে তিনি শৌচকর্ম করতে ঘর থেকে বের হন। সেই সময়েই গ্রামের শংকর দাস, পিন্টু দাস, প্রদীপ দাস এবং অভয় দাস নামে চার অভিযুক্ত তাঁকে ধরে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এদিকে, এই ঘটনার কথা কাউকে না বলার হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়। তিনি জানান, স্বামী বাইরে থাকার জন্য তিনি তাঁর শশুর-শাশুড়ির কাছে পুরো ঘটনাটি জানান। যদিও, লোকলজ্জার কারণে তিনি পুলিশের কাছে বিষয়টি তখন জানান নি।
তবে ফের, গত ২০ মার্চ সকালে অভিযুক্ত যুবকরা আবার তাঁকে ভুট্টা ক্ষেতে আসতে বলে জানান ওই নির্যাতিতা। এমনকি, প্রতিবাদ করলে তাঁকে বেধড়ক মারধরও করা হয়। শেষে ঘটনাস্থলে উপস্থিত রবীন্দ্র তাঁতী, মনোজ দাস, চন্দন দাস তাঁকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পর বাড়িতে নিয়ে আসেন।
সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্ত যুবকরা মহিলার বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত বসিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে চরিত্রহীনতার অভিযোগ তোলে এবং গোটা গ্রামের সামনে তাঁকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। পাশাপাশি, শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করা হয় তাঁর। এদিকে, ইতিমধ্যেই ঘটনাটি এসপির নজরে আসার পর পুলিশ তৎপর হয়। এই প্রসঙ্গে এসপি রাজেশ কুমার জানিয়েছেন যে, ঘটনাটি সম্পর্কে তিনি অবগত হয়েছেন। এক মহিলার বিরুদ্ধে চরিত্রহীনতার অভিযোগ এনে তাঁকে মারধরের অভিযোগ এসেছে বলেও জানান তিনি।