তিলজলায় প্রতিবেশীর সঙ্গে বচসার জেরে চলেছিল গুলি। ফিল্মি কায়দায় একের পর এক ছাদ টপকে পালানোর চেষ্টা করে গুলিকাণ্ডে সেই অভিযুক্ত। ধাওয়া করে পুলিশও। আর সেই ছবিই ধরা পড়ে ক্যামেরায়। শ্যুটআউটের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে তিলজলা এলাকায়।
অবশেষে পুলিশের জালে তিলজলা গুলি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত জিবোধ রাই। বুধবার বিহার থেকে জিবোধ-সহ মোট ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাকি দুই ধৃতের নাম প্রকাশ ও বিনোদ। ফলে তিলজলা কাণ্ডে মোট ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬। ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। ওইদিন সন্ধে থেকে তিলজলার তাড়িখানা রোড এলাকায় অশান্তি চলছিল। তার ফলে চাপা উত্তেজনা ছিলই।
এরপর রাতভর চলে তল্লাশি। তিলজলা থানার পুলিশ এবং লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকরা রবিবার ভোরে কাঁচরাপাড়া থেকে অভিযুক্ত জীবোধের ভাই রিবোধকে পাকড়াও করে। পরে রিবোধের মা এবং দিদিকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু হদিশ মিলছিল না মূল অভিযুক্ত জীবোধ রাইয়ের। অবশেষে বুধবার রাতে গুণ্ডাদমন শাখা ও পুলিশের তৎপরতায় বিহার থেকে ধরা পড়ল মূল অভিযুক্ত ও তার দুই সাগরেদ।
শনিবার সাতসকালে রাজু রায় নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বাজার সেরে ফিরছিল। অভিযোগ, সেই সময় এলাকারই বাসিন্দা জীবোধ রাই এবং তার ভাইয়েরা রাজুর পথ আটকায়। কথা কাটাকাটি হয়। বচসা মেটাতে আসরে নামেন রাজুর বাবা ডাবলু রায়।
তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, বচসা চলাকালীন ঘটনাস্থলে তিন রাউন্ড গুলি চলে। তাতেই রাজু জখম হন। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন তিনি। রাজুর বাবাও জখম হন। দু’জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করেন। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাঁদের।
খবর পাওয়ামাত্রই ডিসি (এসিডি)-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তবে পিছু ধাওয়া করেও অভিযুক্তদের পাকড়াও করতে পারেনি পুলিশ। একেবারে ফিল্মি কায়দায় একের পর এক বাড়ির ছাদ পেরিয়ে এলাকা ছাড়ে অভিযুক্তরা।