বর্তমানে রাজ্যজুড়ে বগটুই কাণ্ড নিয়ে বাড়ছে উত্তাপ। উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল। দলের নেতৃত্বে ছিলেন, লোকসভায় তৃণমূল সংসদীয় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। বীরভূমের এই গ্রামের মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। বিরোধীদের দাবি, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারেই ভেঙে পড়েছে। বগটুই কান্ডের পর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যপালকে নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে সুদীপ বলেন, “আমরা বলেছি বাংলার রাজ্যপালকে এখনই সরিয়ে দেওয়া উচিৎ। বীরভূমের রামপুরহাট ইস্যুতে তিনি যে ভূমিকা পালন করেছেন, তা সাংবিধানিক নিয়মের পরিপন্থী। সংসদীয় গণতন্ত্র গুরুতর বিপদের মুখে রয়েছে।”
পাশাপাশি, রামপুরহাট ইস্যুতে রাজ্য সরকার যে হাত গুটিয়ে বসে নেই, সেই কথাও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। রাজ্যপালকে লেখা মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির একটি প্রতিলিপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন এবং দারুণভাবে পদক্ষেপ নিয়েছেন। এখনও অবধি ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, ১৫ জন পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। কোনও দোষীকেই ছেড়ে দেওয়া হবে না। এমনই বলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সুদীপ, ডেরেক ছাড়াও মহুয়া মৈত্র, জহর সরকার, শতাব্দী রায়, অসিত মালের মতো তৃণমূল সাংসদরা এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন। তৃণমূল সাংসদরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি হওয়া উচিৎ নয়, কারণ সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই নিয়েছে।