গত কয়েকবছরে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়েছে আকাশছোঁয়া। আর সেই কারণেই কাজ বন্ধের কথা ভাবছে ক্রেডাই। ক্রেডাই মহারাষ্ট্রের সভাপতি সুনীল ফুরদে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে রড, সিমেন্ট এবং অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রীর দাম ক্রমাগত বাড়ছে। আকাশছোঁয়া দামের ফলে, ডেভালপারদের প্রকল্প নির্মাণের খরচ দিনে দিনে বেড়ে চলেছে। অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠছে একটি প্রকল্প নির্মাণের কাজ। শেষ অবলম্বন হিসাবে, ক্রেডাই মহারাষ্ট্রের সমস্ত সদস্য ‘কাজ বন্ধের’বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে।
মুল্যবৃদ্ধির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর মূল উপাদান, যার মধ্যে রয়েছে রড, সিমেন্ট, চার ইঞ্চি ইট, বালি এবং ধোয়ার বালি, বৈদ্যুতিক তার, ফিটিংস, টাইলস, পাইপ, স্যানিটারি সামগ্রী, সেই সঙ্গে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে মজুরি বেড়েছে ৪০ শতাংশের কাছাকাছি। সেই সঙ্গে তিনি দাম বাড়ার বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারির কথাও বলেছে। এই ‘মুল্যবৃদ্ধি স্বাভাবিক নাকি কালোবাজারিদের মজুতের কারণে বেড়েছে এই দাম তা অবিলম্বে প্রশাসনের তদন্ত করে দেখা উচিত বলেও দাবি করেছেন তিনি’।
এছাড়াও পুনে, মুম্বই, থানে এবং নাগপুরে ১ এপ্রিল থেকে সমস্ত সম্পত্তি ক্রয়ের উপর ১% মেট্রো সারচার্জ পুনরায় আরোপ করা হবে। আর ফলে সম্পত্তি ক্রয়ের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়বে বলেও দাবি করেছেন তিনি। কেন কাজ বন্ধের এগোতে চান ক্রেডাই? এর উত্তরে তিনি বলেন, মূলত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করারা জন্যই কাজ বন্ধের পথে হাঁটতে চলেছে তারা। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ক্রমবর্ধ্বমান মুল্যবৃধি নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্রেডাইয়ের তরফ থেকে মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী অজিত পাওয়ার এবং রাজস্ব মন্ত্রী বালাসাহেব থোরাতকে এই মর্মে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
ক্রেডাইয়ের তরফে জানানো হয়েছে যে এক বছর আগে স্টিলের দাম ছিল ৪২ হাজার টাকা (প্রতি টন) যা এখন প্রায় ৮৪,৯০০ টাকা। সিমেন্টের দাম (প্রতি ব্যাগ) ছিল ২৬০ টাকা। দাম বেড়ে তা এখন হয়েছে ৪০০ টাকা। চার ইঞ্চি ইটের দাম ছিল প্রতি হাজার ইটের ৬,৫০০ টাকা যা এখন তা বেড়ে ৮,০০০ টাকা হয়েছে। একই সঙ্গে দাম বেড়েছে বালি,পাইপ, স্যানিটারি সামগ্রী, সেই সঙ্গে টাইলসের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এর ফলে আমাদের পক্ষে কাজ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে জানিয়েছেন ক্রেডাই মহারাষ্ট্রের সভাপতি সুনীল ফুরদে।