ইউক্রেন থেকে দেশে ফিরেছেন পড়ুয়ারা। কিন্তু তাঁদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। এই অবস্থায় কেন্দ্র তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিশেষ কিছু পরামর্শ বা দাবি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই ইস্যু নিয়ে রাজ্যসভায় সরব হলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েন। তাঁর দাবি, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে বিবৃতি দিতে হবে।
সোমবার রাজ্যসভায় অধিবেশন চলাকালীন এই দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি জানান, ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দেওয়া হলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। ওই ছাত্র বা ছাত্রীদের পড়াশোনার কী ব্যবস্থা হবে, তা নিয়েও কিছু জানানো হয়নি। তাই রাজ্যসভায় সরব হয়েছে তৃণমূল। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু জানিয়েছেন, বিষয়টা স্বাস্থ্য মন্ত্রককে জানানো হয়েছে।
ইউক্রেন থেকে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে এসেছেন এমন পড়ুয়ার সংখ্যা ৩৯১। তাঁদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে লিখেছেন, দেশে মেডিক্যাল পড়াশোনা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন কর্তৃক পরিচালিত হয়। তাই বেশ কিছু পরামর্শ দিতে চান তিনি।
মমতার দাবি, যে সব শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপের যোগ্য তাঁদের রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভাতা সহ ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিতে হবে। যিনি যে বর্ষের শিক্ষার্থী, তাঁকে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সেই বর্ষেই ভর্তির সুযোগ দিতে হবে। সেই হিসেব মতো আসন সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এনএমসি-র নিয়ম অনুযায়ী যে সব ছাত্র-ছাত্রীরা ন্যাশনাল এন্ট্রান্স এলিজিবিলিটি টেস্ট উত্তীর্ণ হন, তাঁরাই একমাত্র মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে পারেন। সেই গাইডলাইন কিছুটা শিথিল করার আর্জিও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।