উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে বারবারই বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছে বিশ্বভারতী। এই মুহূর্তেও ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত বিশ্ববিদ্যালয়। যার ফলে অব্যাহত অচলাবস্থা। সোমবার থেকে বিশ্বভারতীতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষা দিলেন না ছাত্রছাত্রীরা। পরীক্ষার জন্য আরও এক মাস সময় চেয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা।
প্রসঙ্গত, হোস্টেল খোলা, অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়া-সহ একাধিক দাবিতে বিশ্বভারতীতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ছাত্র আন্দোলন। ছাত্রছাত্রীদের দাবি ছিল, মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের সময় সীমা বৃদ্ধি করা। যদিও, এখনও পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও দাবিই মানা হয়নি। সেই কারণে ছাত্র বিক্ষোভ এখনও চলছে। প্রতিবাদে ছাত্র ছাত্রীরা পরীক্ষা বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন। সেই মতো বিশ্বভারতীর কলেজ স্তরের সেমিস্টার পরীক্ষাগুলি হয়নি। এবার বন্ধ হল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও।
আজ থেকে বিশ্বভারতীর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। শিক্ষাসত্র ও পাঠভবনের। কিন্তু আন্দোলরত ছাত্র ছাত্রীরা বাধা না দিলেও, পরীক্ষার সময় সীমা বাড়াতে হবে এই দাবিতে পরীক্ষা দেননি একাংশ পড়ুয়া। অন্যদিকে, পরীক্ষা দিতে চান একাংশ পড়ুয়া। পরীক্ষা নিয়ে আবার দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদও হয়। তবে এই সমস্যার মাঝে হয়নি পরীক্ষা শুরু।
দোলের আগে টানা ১৭ দিন চলেছে বিশ্বভারতীর বিক্ষোভ। বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসে ছাত্র-ছাত্রীরা ঘেরাও করে রেখেছিলেন রেজিস্ট্রারকে। সঙ্গে ছিলেন দুই আধিকারিকরাও। বিক্ষোভ চলাকালীন দেখা যায়, হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসছিলেন রেজিস্ট্রার। এই ঘটনা পরপর দুদিন হয়। তারপরই দেখা যায় আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করেন রেজিস্ট্রার।
সোমবার সকাল থেকেই বিশ্বভারতীর গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্রছাত্রীরা। বিক্ষোভরত এক ছাত্র বলেন, ‘প্রথমে আমাদের বলা হয়েছিল, অর্ধেক সিলেবাসে অর্থাৎ যতটা পড়ানো হয়েছে তার ভিত্তিতে টেস্ট পরীক্ষা হবে। কিন্তু চার দিন আগে নোটিস দিয়ে জানানো হয় পুরো সিলেবাসেই পরীক্ষা হবে। ২১ ফেব্রুয়ারি টেস্ট পরীক্ষা শেষ হয়। মার্চ থেকেই ফাইনাল পরীক্ষা। স্টাডি লিভ মাত্র ১ মাস দেওয়া হয়েছে। যেখানে সব জায়গায় তিন মাস সময় দেওয়া হয়।’