ফের কয়লা পাচার কাণ্ডে ফের তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দিল্লীতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। আর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই পদক্ষেপকে বাংলা বিরোধী চক্রান্ত বলে উল্লেখ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক ব্রাত্য বসু। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই অভিযোগ করলেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, বাংলার মাটিতে রাজনৈতিকভাবে ধাক্কা খেয়ে বাঘনখ বের করছে বিজেপি। আগামী সপ্তাহে সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দিল্লীতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, কয়লা পাচার সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এর আগেও অভিষেককে দিল্লীতে ইডির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। ভারচুয়ালি সেখানকার আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছিল স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। ফের তাঁদের তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
এমতাবস্থায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছেন ব্রাত্য বসু। তাঁর প্রতিক্রিয়া, “আমাদের নেতাকে ফের ইডির নোটিশ ধরানো হয়েছে। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে টার্গেট করা হচ্ছে। গতকাল বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বললেন। তারপরেই নোটিস চলে এল। এটা প্রতিহিংসামূলক আচরণ। আমাদের দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। রাজ্যে বিজেপির অবস্থা যত খারাপ হচ্ছে তত এদের নখ-দাঁত বেরচ্ছে।” তাঁর আরও প্রশ্ন, “কয়লা নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক কী করছে? উত্তরপ্রদেশ সীমানা দিয়ে কীভাবে গরু পাচার হচ্ছে?” এদিন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও অভিষেককে ইডির তলব নিয়ে মুখ খোলেন। বিধানসভায় নিজের ঘরে তাঁর বক্তব্য, “এটা নতুন কিছু না। কোনও নির্বাচন এলেই ইডি, সিবিআইকে ব্যবহার করে বিজেপি।” শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, দেব, অনুব্রত মণ্ডল, মলয় ঘটক, তৃণমূলের সাংসদ, মন্ত্রীদের একাধিকবার নানা মামলায় জেরার জন্য তলব করেছে। তা নিয়ে দিনকয়েক আগে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, এসবই বিজেপির রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ। বারবার এভাবে বাংলার শাসকদলের আত্মবিশ্বাস ভাঙার চেষ্টা চলছে বলে মনে করেন তিনি। এবার তৃণমূল সাংসদকে ইডি তলব নিয়ে সরব হলেন ব্রাত্য বসু, পার্থ চট্টোপাধ্যায়।