শত্রুঘ্নর তৃণমূলে যোগদানের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রশান্ত কিশোরের। তবে কংগ্রেস সম্পর্কে কোনও নেতিবাচক কথা বলতে চাননি শত্রুঘ্ন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, কংগ্রেসের মধ্যে কিছু সমস্যা রয়েছে ঠিকই। তবে কংগ্রেস ও গান্ধী পরিবারের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। সনিয়া গান্ধীকেও আমি শ্রদ্ধা করি।
আসানসোল ও বালিগঞ্জের উপ নির্বাচনের জন্য গত রবিবার প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসানসোল লোকসভার উপ নির্বাচনে অভিনেতা তথা প্রাক্তন বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী করা হয়েছে।
শত্রুঘ্ন এর পর এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাঁর তৃণমূলে যোগদানের নেপথ্যে দুজনের ভূমিকা ছিল। এক যশবন্ত সিনহা এবং দুই প্রশান্ত কিশোর। শত্রুঘ্ন জানিয়েছেন, প্রশান্ত তাঁর সঙ্গে দেখা করে দীর্ঘ আলোচনা করেছিলেন। তাঁকে বুঝিয়েছেন। তার পরই তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
এক সময়ে বাজপেয়ী-আডবাণীর অত্যন্ত আস্থাভাজন নেতা ছিলেন বিহারী বাবু শত্রুঘ্ন সিনহা কিন্তু নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহর সঙ্গে কোনওকালেই তাঁর বনিবনা ছিল না। বিজেপিতে প্রায় ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তারপর তৃণমূলে যোগদান করেন।
বস্তুত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শত্রুঘ্নর বন্ধু সম্পর্ক নতুন নয়। বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় তাঁরা সতীর্থ ছিলেন। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর দলনেত্রী প্রশংসাতেও সরব শত্রুঘ্ন। তাঁর মতে, দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সবরকম যোগ্যতা মমতার রয়েছে। মমতার সমতুল নেতা সর্বভারতীয় রাজনীতিতে এখন বিরল।