রাশিয়ার থেকে বিশেষ ছাড়ে অপরিশোধিত তেল কিনতে পারে ভারত। এই গুঞ্জনের সঙ্গে সঙ্গেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, তাহলে কি নয়াদিল্লির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে আমেরিকা? ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে সত্য়িই কি তেমন কোনও সম্ভাবনা রয়েছে? এই সংশয় উড়িয়ে দিল ওয়াশিংটন। তবে এরই পাশাপাশি আমেরিকার মন্তব্য, এর জন্য হয়তো ভারতের উপরে কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে না। কিন্তু এর ফলে ইতিহাসের ভুল দিকে স্থান হবে নয়াদিল্লির। এভাবেই সরাসরি না বলেও ভারতকে বিঁধল আমেরিকা।
যুদ্ধের আবহে কমেছে অপরিশোধিত তেলের দাম। এই পরিস্থিতিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকির কাছে জানতে চাওয়া হয় ভারত কি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না এর ফলে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। কিন্তু এও মনে হয়, পাশাপাশি এটাও ভাবতে হবে এই মুহূর্তে ইতিহাস লেখা হলে কে কোন পক্ষে থাকবে। রাশিয়ার নেতৃত্বকে সমর্থনের অর্থই তাদের আগ্রাসনকেও সমর্থন করা। যে আগ্রাসনের ফলাফল ভয়ংকর’।
এর আগে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য ভারতীয় বংশোদ্ভূত অ্যামি বেরার কথাতেও এই সুর লক্ষ করা গিয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ”যা খবর পাওয়া যাচ্ছে, তা যদি সত্যি হয় তাহলে ভারত ছাড়ের মূল্যে অপরিশোধিত তেল কিনতে চলেছে রাশিয়ার থেকে। ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে নয়াদিল্লি পুতিনের পক্ষে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে সময় ইউক্রেনের মানুষের প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ একজোট হচ্ছে এবং রাশিয়ার মারণ হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হচ্ছে’। সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র এবং কোয়াডের একজন নেতা হিসেবে ভারতের এটা দায়িত্ব, যেন কোনও ভাবেই তারা প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষ ভাবে পুতিন এবং তাঁর আগ্রাসনকে সমর্থন না করে’।