মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীরে জঙ্গীহানায় প্রাণ হারিয়েছিলেন দুই পঞ্চায়েত সদস্য। এবার সেই হামলার ঘটনায় যুক্ত তিন লস্কর জেহাদিকে নিকেশ করল যৌথবাহিনী। কাশ্মীরের নওগ্রাম এলাকায় তারা গা ঢাকা দিয়েছিল বলে জানিয়েছে সূত্র। বুধবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, নিহত তিন জেহাদি লস্কর-ই-তইবার সদস্য। তাদের মধ্যে দু’জনের নামও জানা গিয়েছ। আদিল তেলি এবং সোপিয়ানের বাসিন্দা শাকিব তানন্ত্রেয়। পুলিশের দাবি, আরেকজন নাম সম্ভবত উমর তেলি। তাদের শনাক্তকরণের জন্য পরিবারের সদস্যদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। এদিন সকালে নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে নওগ্রাম এলাকা ঘিরে ফেলে যৌথবাহিনী। আত্মগোপন করে থাকা জঙ্গীদের আত্মসমর্পণ করতে বাল হয়। তাতে অবশ্য কর্ণপাত করেনি তারা। উলটে পুলিশ ও সেনাকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। জবাব দেয় বাহিনীও। তাদের গুলিতে তিন লস্কর জঙ্গী নিকেশ হয়। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে দু’টি পিস্তল এবং একটি একে-৪৭ উদ্ধার হয়েছে। এলাকা ঘিরে তল্লাশি চলছে এখনও।
পাশাপাশি, বিজয় কুমার আরও জানিয়েছেন, সম্প্রতি ভূস্বর্গে একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য, সিআরপিএফ জওয়ান, পুলিশ কর্মীদের উপর হামলা চলছিল। সেই সমস্ত হামলার মূলচক্রী ছিল এই তিন জেহাদিই। তাদের নিকেশ করায় নিসন্দেহে বড় সাফল্য পেল বাহিনী। কাশ্মীর পুলিশের আইজি আরও জানিয়েছেন, “পাকিস্তান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিরোধী। তাই পঞ্চায়েত সদস্যদের হত্যার পরিকল্পনা করছে তারা। এবার তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছি। একাধিক জঙ্গী মডিউল নষ্ট করেছি আমরা।” সম্প্রতি কাশ্মীরে চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছিল জঙ্গিরা। কখনও টার্গেট করা হচ্ছিল পুলিশকে তো কখনও হামলা হচ্ছিল জনবহুল এলাকায়। দিন কয়েক আগে প্রত্যাঘাত করে ভারতীয় সেনা। ভিন্ন ভিন্ন তিনটি এনকাউন্টারে খতম হয় ৪ জেহাদি। তাদের মধ্যে একদন পাক সন্ত্রাসবাদীও ছিল। আরও এক জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে কাশ্মীর পুলিশ। সব মিলিয়ে ভূস্বর্গে জঙ্গীদমনে বড় সাফল্য পেল সেনা ও পুলিশ।
