বাংলায় কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবাদে উপকৃত হয়েছেন মোট ৭২ লক্ষেরও বেশি মেয়ে। সোমবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি প্রশ্ন করেন, ২০২১ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা প্রাপকের সংখ্যা কত? জবাবে নারী-শিশু সমাজ কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, গত বছর রাজ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা প্রাপকের সংখ্যা ৭২,৪১,৭৮১। পাশাপাশি আরও একটি প্রশ্ন তুলেছিলেন ইদ্রিস। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, বর্তমান অর্থবর্ষে আর কত জন ছাত্রীকে কন্যাশ্রী ভাতা দেওয়া যেতে পারে? সেই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমান অর্থবর্ষে ৩০,২১,৩৭৮ জন ছাত্রীকে কন্যাশ্রী প্রকল্পে ভাতা দেওয়া হতে পারে।
বিগত, ২০১৩ সালের ১৪ই আগস্ট ‘কন্যাশ্রী দিবস’ পালন করে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের আওতায় আসতে গেলে একটি মেয়েকে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তে হবে। বার্ষিক এক হাজার টাকা এবং এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয় এই প্রকল্পের আওতাধীন পড়ুয়াদের। ২০১৭ সালের জুন মাসে, ইউনাইটেড নেশনস তাদের সর্বোচ্চ জনসেবা পুরস্কারে সম্মানিত করে কন্যাশ্রী প্রকল্পকে। ৬২টি দেশের মধ্যে ৫৫২টি সমাজ কল্যাণকর প্রকল্পের মধ্যে সেরা পুরস্কার পায় কন্যাশ্রী। সেই প্রকল্প আগামী দিনে অন্য রাজ্যগুলিকে পথ দেখাবে বলেও দাবি করেছেন মন্ত্রী। প্রসঙ্গত, প্রশ্নোত্তর পর্বের অব্যবহিত পরে বিধায়ক ইদ্রিস বিধানসভা অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে আচমকা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাঁকে চিকিৎসার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন থাকবেন তিনি। আগামী কয়েক দিন বিধানসভার অধিবেশনে তাঁর যোগ দেওয়ার সম্ভাবনাও কম বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।