লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপি-র নিশ্চিত জয়ের পূর্বাভাস দিচ্ছে এই ফল৷ পাঁচ রাজ্যে ফলাফল দেখে এমনই মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার টুইটে মোদীর সেই তত্ত্ব খারিজ করে দিলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। তাঁর কথায়, ‘বিধানসভা জিতে এত হইচই আসলে বিরোধীদের উপর মানসিক চাপ বাড়ানোর কৌশল’। একই সঙ্গে মোদীকে ‘সাহেব’ বলে কটাক্ষও করেছেন পিকে।
টুইটে প্রশান্ত কিশোর লিখেছেন, ‘ভারতের জন্য যে লড়াই তা ২০২৪-এই হবে এবং তখনই তার ফল নির্ধারিত হবে, কোনও রাজ্যের নির্বাচনের ফলে নয়৷ সাহেব এটা ভাল ভাবেই জানেন৷ সেই কারণেই বিধানসভা ভোটের ফল নিয়ে এই উন্মাদনা তৈরি করে বিরোধীদের উপরে মনস্তত্ত্বিক চাপ তৈরির কৌশল নিয়েছেন তিনি৷ এই মিথ্যে প্রচারের ফাঁদে পড়বেন না বা অংশ হবেন না’৷
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তর প্রদেশের ভোটকে সেমি ফাইনাল হিসেবে ধরা হচ্ছিল৷ ২০১৭-র তুলনায় প্রায় পঞ্চাশটি আসন কমলেও উত্তর প্রদেশে ২৭৩টি আসন পেয়েছে বিজেপি৷ সঙ্গে মণিপুর, উত্তরাখণ্ড এবং গোয়াতেও সরকার গড়তে চলেছে গেরুয়া শিবির। ভোটের এই ফলাফল প্রকাশের পর দিল্লিতে বিজেপির সদর কার্যালয় থেকে কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করতে মোদী বলেন, ‘২০২২-এর বিধানসভার ভোটের ফলাফল ঠিক করে দিল ২০২৪-এ কী হবে’।
মোদীর এই তত্ত্বকেই খারিজ করে দিয়েছেন পিকে। সেই সঙ্গে বার্তা দিতে চেয়েছেন— ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন হবে পুরোপুরি ভিন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে। উত্তরপ্রদেশ বা অন্য কোনও রাজ্যের বিধানসভা ভোটের সঙ্গে ফলের প্রভাব তার উপর পড়বে না। প্রসঙ্গত, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও প্রশান্ত কিশোর পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, বিজেপি তিন অঙ্কে পৌঁছবে না৷ শেষ পর্যন্ত তাঁর কথাই মিলে গিয়েছিল৷