নাগরিকদের আরও সুরক্ষা দিতে রাজ্যে আরও আটটি নতুন থানা তৈরির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বুধবারই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রদফতরের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
ওই আট নতুন থানা হলো, দক্ষিণেশ্বর, কামারহাটি, নাগেরবাজার, মোহনপুর, বাসুদেবপুর, শিবদাসপুর, হালিশহর ও জেঠিয়া। নতুন আট থানার পাশাপাশি পাঁচটি নতুন সাইবার থানাও চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। ওই পাঁচ সাইবার থানা হবে রানাঘাট, ইসলামপুর, বনগাঁ, জঙ্গিপুর ও চন্দননগরে।
নতুন থানা চালুর ফলে ওই দুই এলাকার বাসিন্দাদের অনেকটাই সুবিধা হবে। দমদম থানা ভেঙ্গে নাগেরবাজারকে নতুন থানা করা হয়েছে একই উদ্দেশে। নৈহাটি থানা ভেঙ্গে শিবদাসপুর থানা গড়ে তোলা হচ্ছে। বীজপুর থানা থেকে হালিশহরকে সরিয়ে নিয়ে আলাদা থানা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, মধ্যমগ্রামের প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই বীজপুরে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য নিয়ে স্থানীয় থানার ওসিকে তিরস্কার করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই নাগরিক সুরক্ষার উপরে বিসেষ জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক পুলিশ জেলাকে যেমন ভেঙেছেন, তেমনই নতুন পুলিশ কমিশনারেটও গঠন করেছেন। সেই সঙ্গে নতুন থানা, মহিলা থানা ও সাইবার অপরাধ থানার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। মূলত পুলিশের উপরে চাপ কমানোর পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে বড় থানাগুলি ভেঙে নতুন থানা চালু করা হচ্ছে। যাতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যায় এবং বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে গিয়ে যাতে ভোগান্তি না পোহাতে হয়, তার জন্য থানার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এতদিন বেলঘরিয়া থানার অন্তর্গত ছিল কামারহাটি ও আড়িয়াদহ।