রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে রাশিয়া ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়ার পরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। অবশেষে সমস্ত আশঙ্কাকে সত্যি করে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে মস্কো। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনের মাটিতে রাশিয়ার মিলিটারি অপারেশন চলছে। এই পরিস্থিতিতে খারকিভ থেকে পেসোচিনে সরিয়ে আনা হয়েছে ভারতীয় পড়ুয়াদের। বলা ভাল, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁদের নিজেদেরই সরে আসতে হয়েছে। সঙ্গী শেখরাপ্পা জ্ঞানগৌদার মর্মান্তিক পরিণতি দেখে। মোদী সরকারের তরফে জরুরি বার্তা আসতেই পড়িমরি লোটাকম্বল নিয়ে পূজা প্রহরাজরা সরে এসেছেন ‘নিরাপদ’ শহর পেসোচিনে। ভারতীয় এই পড়ুয়ারা ভেবেছিলেন, এখান থেকে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাবে মোদীর ‘অপারেশন গঙ্গা’র উড়ান। কিন্তু কোথায় কী! ১৩ কিলোমিটার পথ উজিয়ে পেসোচিনে আসার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পরেও পূজা প্রহরাজদের কাছে আতঙ্কের ছবিটা বিশেষ বদলায়নি।
খারকিভের সিটি সেন্টারে খাবার কেনার লাইনে দাঁড়িয়ে রুশ ক্ষেপণাস্ত্রে নিহত ভারতীয় ছাত্র নবীন শেখরাপ্পা জ্ঞানগৌরার বন্ধু পূজা প্রহরাজ ইতিমধ্যে খবরের শিরোনামে এসেছেন। পূজা খারকিভ শহরের ভারতীয় পড়ুয়াদের কো-অর্ডিনেটরও। ফলে, নিজের সুরক্ষার থেকেও তাঁর দুশ্চিন্তা খারকিভে মেডিক্যাল পড়তে যাওয়া কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রীর নিরাপত্তা। মোদী সরকার তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবছেন না বলে আগেই অভিযোগ করেছিলেন খারকিভে পড়তে যাওয়া ভারতীয় এই ছাত্রী। সেই পূজা প্রহরাজই আবার টুইট করেছেন। শুক্রবার। পেসোচিনের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। ভিডিয়োটি মিউট করে দেখলে, পড়ুয়াদের বিক্ষিপ্ত জটলা ছাড়া কিছুই ঠাওর হয় না। প্যান করা ক্যামেরার লেন্সে নজরে পড়ে না যুদ্ধের কোনও ক্ষতও। কিন্তু সবাক চিত্রে কানে আসে গোলাবর্ষণ। পূজা আক্ষেপ করে লিখেছেন, এই ভিডিয়ো দেখিয়ে দিচ্ছে আমরা কতটা সুরক্ষিত রয়েছি!