ইউক্রেনের খারকিভ শহরে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন ২১ বছর বয়সী নবীন শেখরাপ্পা। রোজ অন্তত দু’বার বাড়িতে ফোন করতেন। মঙ্গলবার বাঙ্কার ছেড়ে খাবারের সন্ধানে বেরোনোর আগেও অল্প সময়ের জন্য ফোন করেছিলেন। বাড়ির লোককে আশ্বাস দিয়েছিলেন, খাবার নিয়ে ফিরে আসার পরে দীর্ঘক্ষণ কথা বলবেন।
শেখরাপ্পা বলেন, নবীন যুদ্ধের সময় ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইউনিভার্সিটি থেকে বলা হয়েছিল, কিছু হবে না। তাই তিনি ইউক্রেনে থেকে গিয়েছিলেন। রুশ হানা শুরু হতে নবীন ও তাঁর বন্ধুরা বাঙ্কারে আশ্রয় নেন। তাঁরা ইউক্রেন থেকে দেশে ফেরার চেষ্টা করছিলেন।
অনেকক্ষণ পরেও নবীনের ফোন আসছে না দেখে নিজেই ফোন করেছিলেন তাঁর বাবা শেখরাপ্পা গানাগৌদার। কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি। দুপুর দু’টোয় তাঁকে জানানো হয়, নবীন রুশ গোলায় নিহত হয়েছেন। শেখরাপ্পার কথায়, “গতকাল নবীন সকাল ১০ টায় ফোন করেছিল। সে বলল, আমি ব্রেকফাস্টের পরে ফের ফোন করব।
কিন্তু সেই কল আর আসেনি। তার ফোন বেজে যাচ্ছিল। কিন্তু কেউ ধরছিল না। দুপুর দু’টোয় বিদেশমন্ত্রক থেকে আমাকে ফোন করা হয়। সাড়ে চারটেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমাকে ফোন করেন। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই ফোন করেন। আমি সকলকে বলেছি, ছেলের দেহটি অন্তত ফেরত আনার ব্যবস্থা করুন।”
নবীনের বন্ধুরা জানিয়েছেন, তিনি একাই বাঙ্কার থেকে বেরিয়ে খাবার আনতে গিয়েছিলেন। একটি মুদির দোকানের সামনে তিনি লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। সেখানে এসে পড়ে রুশ গোলা। বাঙ্কার থেকে বন্ধুরা তাঁকে ফোন করেছিলেন। অনেকক্ষণ ফোন বেজে যাচ্ছিল। পরে এক মহিলা ফোন ধরে বলেন, এই মোবাইলের মালিককে মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।