চলতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। উত্তপ্ত আবহ। এবার সীমান্তের এই যুদ্ধের আঁচ এসে পড়েছে ভারতের মাটিতেও। বহু ভারতীয় পড়ুয়া আটকে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে। যুদ্ধ থামাতে ভারতের সাহায্য চেয়েছিল ইউক্রেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার যুদ্ধ থামাতে ভারত নেতৃত্ব দিতে পারে বলে মনে করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বইমেলার উদ্বোধনে গিয়ে এমন মতামতই জানালেন তিনি।
সোমবার বইমেলার উদ্বোধনে গিয়ে ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার কথায়, “যুদ্ধ বেধেছে। কিন্তু আমি কারোর পক্ষে নই। আমরা বিশ্বশান্তি চাই। ভারত বিশ্বশান্তির কথা বলে?” এর পর ভারতের ইতিহাসও মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “ভারত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন হোক কিংবা শান্তি আন্দোলন, সবক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে। এবারও ভারত নেতৃত্ব দিয়ে যুদ্ধের সমঝোতা করতে পারে। মধ্যস্থতা করে যুদ্ধ থামাতে পারে যুদ্ধ নয়, আলোচনা করেই সব সমস্যার সমাধান হয়। কোন দেশ ভাল, কোন দেশ খারাপ, তা বলতে চাই না। শুধু শান্তি চাই।” উল্লেখ্য, এদিন ইউক্রেন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে তাঁর আর্জি, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে যেন ভারতীয় পড়ুয়াদের দ্রুত ফেরানো হয়।
পাশাপাশি, চিঠিতে তিনি কেন্দ্রের হাতে হাত মিলিয়ে উদ্ধারকাজের বার্তাই দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, সমস্ত রাজনৈতিক ঊর্ধ্বে উঠে দেশের গরিমার স্বার্থে একযোগে এই অপারেশনে কাজ করা উচিত বলে মনে করছেন তিনি। এই চিঠির মাধ্যমে নিজের নিঃশর্ত সমর্থনের কথাও প্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনে সর্বদল বৈঠক ডাকার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সেই বৈঠকে নিজে যোগ দেবেন বলেও মোদীকে জানিয়েছেন মমতা। তবে ইতিমধ্যেই ‘অপারেশন গঙ্গা’র মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর কাজ জোরকদমে করছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে তিনশোরও বেশি পড়ুয়া ফিরেছেন। সেই কাজে আরও তৎপরতা আনতে তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী দেশগুলোয় পাঠাচ্ছে মোদী সরকার। এদিকে যুদ্ধের নিন্দা প্রস্তাবে ভোটদান থেকে বিরত রয়েছে ভারত। যা নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। সূত্রের খবর, ইউক্রেনে সাহায্য পাঠাচ্ছে ভারত।