জুন মাসে ভারতে আছড়ে পড়তে পারে করোনার চতুর্থ ঢেউ। এমনই আশঙ্কা করছেন কানপুর আইআইটি-র একদল গবেষক। তাঁদের মতে, এবার নতুন ভ্যারিয়েন্ট প্রভাব বিস্তার করতে পারে। আর সেই প্রভাব অন্তত চার মাস থাকতে পারে।
তবে এই সময়টাকে মোটেও হালকাভাবে নিতে চাইছেন না বিশেষজ্ঞরা। টিকাকরণ প্রক্রিয়া এখনও জোরকদমে চলছে। ইতিমধ্যে ১৭৭ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। ছোটদের টিকাকরণের জন্য আরও একটি টিকা ছাড়পত্র পেয়েছে সম্প্রতি। এছাড়া বয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে।
কানপুর আইআইটি-র অঙ্ক বিভাগের সবরা প্রসাদ রাজেশভাই, শুভ্রা শংকর ধর, সালাভ নামের তিন জন একটি প্রি-প্রিন্ট জার্নালে এ কথা জানিয়েছেন। জার্নালটি এখনও প্রি-রিভিউ স্তরে রয়েছে। সেই জার্নালে জানানো হয়েছে, জুন মাসের ২২ তারিখ থেকে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের প্রভাব সাধারণ মানুষ টের পেতে পারেন। আর তা অক্টোবরের ২৪ তারিখ পর্যন্ত চলতে পারে।
এই সময়কালে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট দেখা যেতে পারে মানুষের শরীরে। তবে তা কতটা মারাত্মক হবে সেটা নির্ভর করবেন করোনা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার উপরে। জার্নালে গবেষকরা জানাচ্ছেন, জিম্বাওয়ে থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাঁরা এই অনুমান করছেন।
উল্লেখ্য, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের রেশ এখন অনেকটাই কম। সপ্তাহের প্রথম দিনই দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দশ হাজারের নিচে নেমে গিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৮০১৩ জন। রবিবারও যা ছিল ১০ হাজারের বেশি। একদিনে করোনার বলি দেশের ১১৯ জন, রবিবার এই সংখ্যা ছিল প্রায় আড়াইশো। অর্থাৎ, সংক্রমণ ও মৃত্যু – দুই হারই নিম্নমুখী।