শনিবার রাত পোহালেই শুরু হবে কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তক মেলা। যা নিয়ে এই মুহূর্তে চরম উন্মাদনা বইপ্রেমীদের মধ্যে। জানা গিয়েছে, এবারের বইমেলায় জাগো বাংলার স্টলটি তৈরি হয়েছে অবিকল পয়সা জমানোর লক্ষ্মীর ঘটের আদলে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছাতেই ওই উদ্যোগ। ওই ঘটের ভিতরেই থাকবে বইপত্র। ঘটের মতো দেখতে সেই স্টল সাজানোর কাজ চলছে জোরকদমে। রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ওই স্টলের কাজ তদারকি করছেন। শিল্পী নাফিসা মণ্ডলের অধীনে প্রায় চল্লিশজন কর্মী স্টলটি সাজানোর কাজ করছেন।
প্রসঙ্গত, প্ৰতি বছরই বিশেষভাবে সাজিয়ে তোলা হয় তৃণমূলের মুখপত্র জাগবাংলার স্টলটি। এবছর মুখ্যমন্ত্রী ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প চালু করেছেন। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে তাঁর মুখে উঠে এসেছে ওই প্রকল্পের কথা। এবার সেই ‘ভাণ্ডার’ বইমেলাতেও দেখা যাবে, দলীয় মুখপত্রের স্টলরূপে। এ প্রসঙ্গে দোলা সেন বলেন, ‘সভানেত্রীর ভাবনাতেই থিম। প্রতিবছরই বইমেলার ল্যান্ডমার্ক হিসেবে তৈরি করা হয় এই স্টল। এবারও সেই চেষ্টা চলছে।’ অন্যদিকে, বইমেলার থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ প্যাভেলিওনটি সাজানো হচ্ছে অভিনবভাবে। এবছর বইমেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ পালিত হবে। সেজন্য তাঁর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের কথায় সাজানো হচ্ছে প্যাভেলিয়ন। তাঁর ভাষণটি অক্ষরে সাজিয়ে লাগানো হচ্ছে প্যান্ডেলের গায়ে।
জানা গিয়েছে, এবারের বইমেলায় ৬০০-র বেশি স্টল হতে চলেছে। গত বারের চেয়ে বাড়ছে স্টলের সংখ্যা। লিটল ম্যাগাজিনের স্টলের সংখ্যাও বাড়বে। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নেও স্টলের সংখ্যা বাড়তে চলেছে। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু দে জানান, সময়ের আগেই প্রস্তুতির কাজ শেষ করতে জোরকদমে কাজ চলছে। অন্যদিকে, পুলিশ সূত্রের খবর, এ বার পার্কিং লটের সংখ্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি জায়গা চিহ্নিত করেছে পুলিশ। পরিবহণ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, পর্যাপ্ত পরিমাণে বাসের ব্যবস্থা করা হবে। উল্টোডাঙা থেকে শাটল বাসের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন প্রান্ত পর্যন্ত বিভিন্ন রুটের বাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।