মার্চ মাসেই বড় রদবদল হতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনে। নতুন রাজ্য কমিটি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নবীন ও প্রবীণের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে রাজ্য কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। সূত্রের খবর, রাজ্য কমিটিতে আসছে অনেক নতুন মুখ।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরই বিভিন্ন জেলা নেতৃত্বেও বদল আনতে চলেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। আগামী ২০২৪- এর লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে জেলা ভিত্তিক সংগঠনকে আরও মজবুত করতেই জেলা সংগঠনে রদবদল আনা হচ্ছে বলে খবর তৃণমূল সূত্রে। পারফরমেন্সের নিরিখেই জেলা নেতৃত্বের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন নেতারা।
শুধু রাজ্য কমিটি বা জেলা নেতৃত্বেই নয়, বদল আসছে দলের শাখা সংগঠনেও। তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র, যুব, মহিলা ও শ্রমিক সংগঠনেও রয়েছে ব্যাপক রদবদলের সম্ভাবনা। আগামী ২০২৪-এর লড়াইতে দিল্লিতে নিজেদের জোর বাড়াতে চাইছে তৃণমূল। সে ক্ষেত্রে বেশিরভাগ আসন বাংলা থেকেই জিততে হবে। তাই বাংলার সংগঠনের ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূল শিবিরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, পাঁচ রাজ্যের ফলাফলে দেশে বিজেপি বিরোধী শক্তি গুলোর ভালো ফলাফল আশা করছে তৃণমূল। এই নির্বাচনী ফলাফলে বিজেপি ব্যাকফুটে চলে গেলেই দিল্লীর তখত দখলের লড়াইতে আরও সক্রিয় হবে দেশের বিরোধী শক্তিগুলি।
এই লড়াইতে ইতিমধ্যেই বিরোধী জোটের নেত্রী হিসেবে প্রাসঙ্গিকতা বেড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। স্টালিন, উদ্ধব ঠাকরে, তেজস্বী যাদব কিম্বা অখিলেশ যাদবদের মতো নেতারা মমতাকে নিয়েই জোট গঠনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বার বার। এই সম্ভাব্য জোটের শরিক হিসেবে দিল্লী দখলের লড়াইতে সব দলেরই প্রাসঙ্গিকতা নির্ভর করছে সেই দলের সাংসদের সংখ্যার ওপর। আর তাই তৃণমূলও চায় বাংলা থেকে সর্বাধিক আসন পেতে। সেই কারণেই সাংগঠনিক এই রদবদল।