দু’বছর আগেই কোভিডের প্রথম ঢেউ ও লকডাউনের ধাক্কায় দেশে মোট চাকুরিরত কর্মী-শ্রমিকদের মধ্যে মহিলা কর্মীর অনুপাত সর্বনিম্ন হার ১৫.৫ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। তার পরে কিছুটা বাড়লেও এখনও ভারতের চাকরির বাজারে মহিলা কর্মীর অনুপাত বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মতো দেশের তুলনাতেও কম। মহিলাদের মধ্যে বেকারত্বের হারও বেড়েছে। এবার এ নিয়ে দেশের শিল্পপতিরা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের সামনে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারের হস্তক্ষেপ চাইলেন। বাজেটের পরে সোমবার অর্থমন্ত্রী বাণিজ্যিক নগরী মুম্বইয়ের শিল্পমহলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানেই টাটা কেমিক্যালসের এমডি-সিইও আর মুকুন্দন, টাটা স্টিলের এমডি টি ভি নরেন্দ্রনের মতো কর্পোরেট কর্তারা এই সমস্যার কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১-এর মার্চের শেষে দেশে মহিলা কর্মীর অনুপাত ২১.২ শতাংশে পৌঁছেছে। যেখানে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কায় কর্মীদের মধ্যে মহিলাদের হার ৩০ শতাংশের বেশি। ২০২১-এর মার্চে শহরে মহিলাদের মধ্যে বেকারত্বের হারও বেড়ে ১১.৮ শতাংশে পৌঁছেছে। ২০২০-র মার্চে কোভিডের আগে যা ছিল ১০.৬ শতাংশ। সিএমআইই (সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি)-র হিসেবে, কোভিডের দু’বছরে কাজের খোঁজে আসা মহিলাদের সংখ্যাও ৩৩ শতাংশ কমেছে। গতকালের বৈঠকে এ নিয়ে টাটা কেমিক্যালসের মুকুন্দন জানান, গত দু’বছরে মহিলা কর্মীর হার কমেছে। লকডাউন, তার পরে ছাঁটাই এর কারণ হতে পারে। কীভাবে মহিলাদের উৎসাহিত করা যায়, সে বিষয়ে সরকারের নীতিতে নজর দেওয়া দরকার। আবার টাটা স্টিলের নরেন্দ্রন জানান, ‘অনেক রাজ্য কারখানায় তিন শিফটে মহিলাদের কাজের অনুমতি দিতে চাইছে না। ছোট শিশুর মায়েদের জন্য কাজের জায়গায় ব্যবস্থা, পরিকাঠামো দরকার। কাজের জায়গায় নিরাপত্তাও গুরুত্বপূর্ণ।’