রবিবার মহাত্মা গান্ধীজির প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠান ঘিরে শুরু হল রাজনৈতিক চাপানউতোর। ব্যারাকপুরের গান্ধীঘাটের অনুষ্ঠানে মঞ্চে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের পাশে বসেছিলেন সাংসদ অর্জুন সিং। প্রতিবাদমঞ্চে উঠলেন না রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বললেন, “শনিবারই নোয়াপাড়া এলাকায় তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন। যার পিছনে হাত রয়েছে অর্জুন সিংয়ের। খুনির পাশে বসতে চাই না।” এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল, ব্যারাকপুর সাংসদ অর্জুন সিং, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, স্বরাষ্ট্র সচিব-সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা। রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কিন্তু তিনি মঞ্চে ওঠেননি। নিচে দর্শকাসনে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
এপ্রসঙ্গে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “গতকাল ইছাপুরের তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় সাংসদ অর্জুন সিং মূল অভিযুক্ত। তাই একজন খুনিকে পাশে বসিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সে কারণেই এই প্রতিবাদ। আমি রাজ্যপালকে এ বিষয়ে জানিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করে বের করুক।” এদিন জ্যোতিপ্রিয় আরও বলেন, “অর্জুন সিংয়ের এই গুণ্ডাগিরি চলবে না। পুরভোটের পরই যবনিকা টানব ওর দাদাগিরিতে।” প্রসঙ্গত, প্রথমে গুলি ও পরে কুপিয়ে খুন করা হয় নোয়াপাড়ার প্রাক্তন ব্লক সভাপতিকে। শনিবারের রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে এক বিজেপি নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের নির্দেশেই শিল্পতালুকে অশান্তি ছড়াচ্ছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। এর প্রতিবাদেই এই পদক্ষেপ জ্যোতিপ্রিয়র।
