চলে গেলেন শৈশবের সম্রাট। মঙ্গলবার সকালে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন হাঁদা-ভোঁদার স্রষ্টা নারায়ণ দেবনাথ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। তাঁর প্রয়াণের খবরে মর্মাহত অনুরাগীরা।
নারায়ণ দেবনাথ শুধু শিল্পী মহলে নয়, রাজত্ব করেছেন আমজনতার হৃদয়পুরে। বিশেষ করে কচি কাঁচাদের। তাঁর মৃত্যু তাই কার্যত বহু বাঙালির ছোটবেলার জৌলুসকেই ম্লান করে দিল এক ধাক্কায়। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন শিল্পী। কিছুদিন আগেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। শ্বাসকষ্টের সমস্যাতেও ভুগছিলেন তিনি। সোমবার থেকেই চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন না। মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ‘ছোটবেলার জাদুকর’।
১৩ জানুয়ারি প্রবীণ শিল্পীর সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করেন মন্ত্রী অরূপ রায়। সেখানেই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় পদ্মশ্রী সম্মান।হাসপাতালের বিছানায় শয্যাশায়ী অবস্থাতেই তিনি তা গ্রহণ করেন। শনিবার রাত ৯.১৫ নাগাদ শিল্পীকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
ছয়ের দশকের গোড়ার দিকে শুকতারার সম্পাদকের অনুরোধে ‘হাঁদা ভোঁদা’-র জন্ম দেন শিল্পী। তার কিছু পরে আবির্ভাব হয় ‘বাঁটুল দি গ্রেট’-এর। এসে পড়ে ‘নন্টে ফন্টে’, ‘বাহাদুর বেড়াল’-রা। জনপ্রিয়তায় এদের মতো না হলেও ‘শুঁটকি আর মুটকি’, ‘পটলচাঁদ দ্য ম্যাজিশিয়ান’, ‘গোয়েন্দা কৌশিক রায়’-রাও বাঙালি পাঠকের বহু নিরলস দুপুরের সঙ্গী থেকেছে।