১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি যাত্রা শুরু হয়েছিল তৃণমূলের। দেখতে দেখতে পেরিয়ে গিয়েছে ২৫ বছর। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই প্রথম এবার দলের সংবিধান বদল করে ‘জাতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি’ পদ আনতে চলেছে তারা। মূলত দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাহায্য করার জন্যই ওই পদ তৈরি হচ্ছে। দলনেত্রী কোথাও সফরে গেলে বা অন্যত্র ব্যস্ত থাকলে যিনি তাঁর ভূমিকায় কাজ করবেন। ওই পদের জন্য অধুনা দলের সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রথম পছন্দ মনে করা হচ্ছে। অভিষেক অবশ্য এখনও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু সেই পদটি মনোনীত। তাই সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তিনি নির্বাচিত হয়ে এলে দলের অন্দরে তাঁর নেতৃত্ব আরও সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।
জানা গিয়েছে, তৃণমূলে গঠন করা হবে একটি ‘জাতীয় পরিষদ’। তার সদস্যসংখ্যা হবে ২,০০০। ওই পরিষদের সদস্যদের মধ্যে নির্বাচিত এবং মনোনীত— দু’ধরনের প্রতিনিধিই থাকবেন। ওই পরিষদই হবে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি। তারাই জাতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতিকে পাঁচ বছরের মেয়াদে নির্বাচিত করবে।
সংবিধান সংশোধন করে এই বিষয়টির পাশাপাশিই আরও যে বিষয়টি নিশ্চিত করা হতে চলেছে, তা হল ছ’জন ‘জাতীয় সাধারণ সম্পাদক’ নিয়োগ। যাঁরা দলের সংগঠন এবং কাজকর্ম দৈনিক ভিত্তিতে দেখাশোনা করবেন। তৃণমূলের সদস্যপদ এবং সদস্যদের প্রদেয় ‘ফি’ নিয়েও বদল আনা হচ্ছে।