রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে ‘নেংটি ইঁদুর’ বলে সম্বোধন করলেন অনুব্রত মণ্ডল। এখানেই শেষ নয় তাঁর কটাক্ষ। পাশাপাশি বিজেপি শিবিরকে ‘ভেড়ার দল’ বলেও আক্রমণ করলেন তৃণমূলের কেষ্ট।
গঙ্গাসাগর মেলার নজরদারি কমিটিতে প্রথমে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু পরবর্তীতে বিজেপি শিবিরকে ‘ভেড়ার দল’ বলেও আক্রমণ করলেন তৃণমূলের কেষ্ট।
আর এদিকে তৃণমূল ছাগলের দল বলেই, তাঁরা বিজেপিকে ভেড়ার দল বলে বেড়াচ্ছে’। যদিও হাইকোর্টের নির্দেশের পর শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের পর তাঁকে আক্রমণ করতে বাদ দেননি মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। তিনি বলেছিলেন, শুভেন্দু একজন ‘তুচ্ছ মানুষ’।
গঙ্গাসাগর মেলার নজরদারি কমিটিতে প্রথমে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু পরবর্তীতে রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে সেই কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
এই ঘটনার পর শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করেন, ‘বিজেপিকে, বিরোধী দলনেতাকে ভয় পায় রাজ্য সরকার। বিরোধী দলনেতাকে আটকানোটাই হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল পয়েন্ট এজেন্ডা’। শুভেন্দু অধিকারীর এমন মন্তব্যের পর তাঁকে কটাক্ষ করেন অনুব্রত মণ্ডল।
তিনি বলেন, ‘নেংটি ইঁদুর হল শুভেন্দু অধিকারী। কোন দাম আছে ওর! এদিকে আবার বলছে বিরোধী দলনেতাকে, শুভেন্দু অধিকারীর নামে নাকি ভয় পায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! চুরি করে জয়ী হয়েছে। ওর মত নেংটি ইঁদুরকে কেন ভয় পাবেন মুখ্যমন্ত্রী! বিজেপি তো ভেড়ার পাল’।
বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতির এমন আক্রমণের জবাব দেন বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা। তিনি বলেন, ‘কাঠবেড়ালি আর হনুমান মিলে প্রতিষ্ঠা করেছিল রামরাজ্য। চিন্তার কোন কারণ নেই, নেংটি ইঁদুরের তো সময় এলেই বুঝতে পারবে।