বয়স ৯৭ বছর। আর এই বয়সজনিত কারণেই শরীরে দেখা দিয়েছে একাধিক সমস্যা। গত ২০দিন ধরে চিকিৎসার পরও এখনও সুস্থ হননি প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ। যা চিন্তায় রাখছে চিকিৎসকদের। তবে শিল্পীকে দ্রুত সুস্থ করে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ডাক্তাররা।
জানা গিয়েছে, গত বছর ২৪ ডিসেম্বর থেকে কলকাতার মিন্টো পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য তৈরি হয়েছে চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল।
রক্তে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রা ক্রমাগত উঠছে-নামছে। ফলে তাঁকে রক্ত দিতে হচ্ছে বলে খবর। শ্বাসকষ্টও রয়েছে প্রবীণ শিল্পীর। এছাড়া বয়সজনিত নানা রোগ বাসা বেঁধে শরীরে। ফলে তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকরাও।
‘হাঁদা ভোঁদা’, ‘বাঁটুল দি গ্রেট’, ‘নন্টে ফন্টে’, ‘বাহাদুর বেড়াল’, ‘ডানপিটে খাঁদু আর তার কেমিক্যাল দাদু’র মতো বিখ্যাত কার্টুন চরিত্রের স্রষ্টা নারায়ণ দেবনাথ। ২০১৩ সালে সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ২০২১-এ পদ্মশ্রী। যদিও দশ মাস পেরোলেও ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান পৌঁছয়নি নারায়ণ দেবনাথের কাছে। খেতাব নিয়ে অন্ধকারে দেবনাথ পরিবারও।
পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথের চিকিৎসার দায়িত্ব আগেই নিয়েছিল রাজ্য। সেই সময়ই গঠিত হয়েছিল চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল। তাঁরাই বর্তমানে পর্যবেক্ষণে রাখছেন তাঁকে। আবার শিল্পীর চিকিৎসার খরচ বহনের আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। যা নিয়ে দানা বেঁধেছিল বিতর্কও। আজ তাঁকে দেখতে যাওয়ার কথা মন্ত্রী অরূপ রায়ের।
উল্লেখ্য, গত বছরও জানুয়ারি মাসে অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল নারায়ণবাবুকে। সে সময় তাঁর স্মৃতিশক্তি পরীক্ষা করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিকের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় কাগজ-কলম। বলা হয়, তাঁর কোনও সৃষ্টি ফুটিয়ে তুলতে। কাগজ কলম পেয়ে এক মুহূর্তও অপেক্ষা করেননি তিনি। সঙ্গে সঙ্গে সাদা কাগজে ফুটিয়ে তোলেন বাঁটুলকে।