উনিশের লোকসভা ভোটের পরই রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছিল তাঁকে। আর তারপর বিজেপিতে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। একের পর এক মন্তব্যে বাড়াচ্ছিলেন দলের অস্বস্তিও। অবশেষে এবার সেই সুদীপ রায় বর্মন জানিয়ে দিলেন, তেইশের ভোটে আর বিজেপির টিকিটে লড়ছেন না তিনি।
বুধবার, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুমে সুদীপ অনুগামীরা একটি রক্তদান শিবির আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু তা ভেস্তে যায়। সুদীপের স্পষ্ট অভিযোগ, বিজেপির লোকজনই ঈর্ষান্বিত হয়ে রক্তদান শিবিরের মতো কর্মসূচীকে বানচাল করেছে। আর এরপরেই তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেন, তেইশের ভোটে তিনি আর বিজেপির টিকিটে লড়বেন না। সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, শোনা যাচ্ছে আপনাকে বিজেপি আর টিকিট দেবে না। পাল্টা সুদীপ বলেন, ‘উল্টোটা। আমি আর বিজেপির টিকিটে লড়ব না।’
যদিও কোন দলের টিকিটে লড়বেন তিনি, তা অবশ্য জানাননি সুদীপ। তবে তাঁর সামনে দুটো পথ খোলা। এক তৃণমূল। দুই কংগ্রেস। সপ্তাহ দেড়েক আগেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে, সুদীপ আবার কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। তার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসে রাজবাড়ির বংশধর প্রদ্যোত্কিশোর দেববর্মন যে নতুন দল গড়ে এডিসি ভোটে বোর্ড গড়ে চমকে দিয়েছিল সেই তিপ্রামথা কংগ্রেসের সঙ্গে কথা শুরু করেছে। সুদীপ, প্রদ্যোত্কিশোর এবং ত্রিপুরা কংগ্রেস–এই সমীকরণকে তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে। অন্যদিকে, সুদীপের তৃণমূল যোগ নিয়েও নানান সময়ে নানা জল্পনা তৈরি হতে দেখা গিয়েছে।