‘রাজ্য এখনও ৪০ শতাংশ টিকার ডোজ পায়নি’, প্রধানমন্ত্রীকে এমনই অভিযোগ জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিনই স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন কোভিডের ক্ষেত্রেও মৃত্যু কম। কিন্তু, ছড়াচ্ছে দ্রুত। আগে যে বিদেশ থেকে বিমান এসেছিল অনেক ওমিক্রন এসেছিল। জীবনযাপন তো বন্ধ করা যায় না। ব্যালেন্স করে কাজ হচ্ছে। আজ একটা কথা সত্যি যে বেশি ঝুঁকি নেই। চার পাঁচদিনে সব ঠিক হয়ে যাচ্ছে। কোমর্বিডিটিও খুব কম। চিন্তা করার কোনও কারণ নেই জানি। কিন্তু ডোজ আরও দরকার। ৪০ শতাংশ টিকার সেকেন্ড ডোজ আমরা এখনও পাইনি।’
উদ্বোধন প্রসঙ্গে মমতা আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জ্ঞাতার্থে বলি, এই হাসপাতালের উদ্বোধন আমরা আগেই করে দিয়েছিলাম। এবার প্রশ্ন, কী ভাবে? কোভিডের সময় আমাদের হাসপাতালের প্রয়োজন ছিল। সে সময় আমি রাজারহাটে গিয়েছিলাম। চিত্তরঞ্জন হাসপাতালের সেকেন্ড ক্যাম্পাস দেখতে পাই। জানতে পারি, ওই হাসপাতালটি কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের আওতাভুক্ত। তখন আমরা ওখানে সেফ হোম বানাই। ওই হাসপাতাল আমাদের কাজে লেগেছে। প্রধানমন্ত্রীর এটা জেনে ভালো লাগবে, রাজ্যও এই প্রজেক্টের ২৫ শতাংশ অর্থ দিচ্ছে। গত বছরের রেকারিং খরচ ৭১ কোটি টাকাও রাজ্য সরকার দিয়েছে। ক্যাম্পাসটি তৈরির জন্য ১১ একর জমি আমরা ক্যানসার হাসপাতাল তৈরির জন্য দিয়েছি। সাধারণ মানুষের জন্য কিছু কিছু কাজ একসঙ্গে করতে হয়। আমরা তো সাধারণের জন্য উন্নয়নের কাজ করতেই এসেছি।’
তাঁর কথায়, ‘ক্যানসারের তো কোনও ওষুধ নেই। কিন্তু, তবু চেষ্টা করতে তো অসুবিধা নেই। আমরা ৪০০ সুস্বাস্থ্য সেন্টার খুলেছি, যেখানে ক্যানসারের চিকিৎসা হচ্ছে। মুম্বইয়ের টাটা সেন্টার হাসপাতালের সঙ্গে আমরা দুটো মউ স্বাক্ষর করেছি। কলকাতা ও শিলিগুড়িতে ক্যানসার সেন্টার অফ একসিলেন্স খুলেছি। আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম সেই সময় স্বাস্থ্যের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। আমরা ৪৩টি নতুন মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল খুলেছি। আমরা বাচ্চাদের জন্য তিনশোর বেশি পিডিয়াট্রিক হাসপাতাল খুলেছি। ১৫টি মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব বানিয়েছি’।