আতঙ্কের আরেক নাম ওমিক্রন। ইতিমধ্যেই দেশে সাড়ে ৪০০-র গণ্ডি পার করেছে করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা৷ যা দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা উস্কে দিয়েছে৷ আর তাই এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীর স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনকে উত্তরপ্রদেশের ভোট কয়েক মাস পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। আদালতের সেই পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ভোট পিছিয়ে যাবে কি না, সেই প্রসঙ্গে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র জানান, আগামী সপ্তাহে তিনি উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছেন। সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। ওই সফরের আগে উত্তরপ্রদেশ ও ভোটমুখী বাকি চার রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়েও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে ২৭ ডিসেম্বর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে কমিশনের কর্তাদের। সূত্রের মতে, উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে ভোট পিছোবে কি না, ৩০ ডিসেম্বর তা সাংবাদিক বৈঠক করে জানাতে পারেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে বাংলায় অনেক দফায় ভোট করিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিল কমিশন। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শেষ কয়েক দফার প্রচারে রাশও টানতে হয়েছিল। ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধি মধ্যেই নতুন বছরের শুরুতে পাঁচ রাজ্যে ভোট করালে নতুন করে এক প্রস্ত মুখ পুড়তে পারে কমিশনের। কারণ ভোট হলে, দিনে বেলাগাম মিটিং-মিছিলের পর রাতে কার্ফু করেও যে ওমিক্রনকে রোখা সম্ভব নয়, ঘরোয়া ভাবে সেটা মেনে নিচ্ছেন সব পক্ষই। উল্লেখ্য, ওমিক্রন যে ভাবে বিশ্বে সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউকে ডেকে এনেছে, ভারতেও কোভিড বিধি না মানলে তৃতীয় ঢেউয়ের আছড়ে পড়া কার্যত অবশ্যম্ভাবী বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। আগামী চার থেকে ছ’সপ্তাহে ওমিক্রন সংক্রমণ এমন পরিস্থিতিতে পৌঁছতে পারে যে, দেশে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। নতুন বছরের শুরুতে পাঁচ রাজ্যে ভোট করাতে হলে গোটা প্রক্রিয়ার জন্য ন্যূনতম দেড় মাসের বেশি সময় লাগবে। তার মধ্যে লাগামছাড়া ভোট-প্রচার শুরু হলে ওই পাঁচ রাজ্যে সংক্রমণের পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে।
