ফের নৃশংস ঘটনা রাজধানীর বুকে। বেদম গণপ্রহারের জেরে মৃত্যু হল এক যুবকের। পাথর দিয়ে তাঁর মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। আরও একজন গুরুতর জখম। দিল্লীর সঙ্গমবিহারের এই নৃশংস কাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে রমজান আলি নামে এক ব্যক্তিকে। সিসিটিভি ফুটেজে খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের শনাক্তকরণের কাজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। রাজধানীর বুকে এই ঘটনা ঘিরে ফের তুমুল সমালোচনা নানা মহলে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজ পরীক্ষা করে পুলিশ ঘটনার একটা প্রাথমিক বিবরণ পেয়েছে। জানা গিয়েছে, গত সোমবার রাতে সঙ্গমবিহারে দুই যুবক – যতীন এবং পঙ্কজ বন্ধুর বাড়িতে জন্মদিনের পার্টি সেরে নিজেদের বাড়ি ফিরছিল। দু’জনেরই বয়স একুশের মধ্যে। রাস্তায় আচমকাই তাঁদের ঘিরে ধরে জনা আটেক যুবক। এরপর আচমকাই চলে হামলা। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ওই ২ জনকে এলোপাথাড়ি কিল-চড়-ঘুসি মারছে অভিযুক্তরা। এরপর রাস্তার ধারে পড়ে থাকা পাথর দিয়ে তাঁদের মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে পালানোর আগে দু’জনকে রাস্তার পাশের নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়। আরও অভিযোগ, এঁদের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা হাতিয়েও নিয়েছে অভিযুক্তরা।
পুলিশ যখন সঙ্গমবিহারের এই গণপ্রহারের খবর পায় তখন মঙ্গলবার দুপুর গড়িয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ ঘটনার প্রায় ১০ ঘণ্টা পর। হামলার মুখে পড়া পঙ্কজ কুমার নামে এক ব্যক্তিই জখম অবস্থায় পুলিশ স্টেশনে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। গণপিটুনি ও ডাকাতির অভিযোগ দায়ের করা হয় প্রাথমিকভাবে। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আরেকজনকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পাঠায়। ততক্ষণে অবশ্য যতীন নামের ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পঙ্কজ জখম অবস্থায় এইমস-এর ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন। এরপর গণপিটুনিতে হত্যার অভিযোগে নতুন করে মামলা দায়ের করে পুলিশ।