এবার বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি শোনা গেল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কণ্ঠে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এগিয়ে আসার জন্য ব্রিটেনে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ‘জয় বাংলা’ বলে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে ভাঙা বাংলায় ‘জয় বাংলা’ শুনে আপ্লুত বইটেনে বসবাসরত বাংলাদেশিরা। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশিদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ব্রিটিশ সরকার। অসংখ্য ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ এবং তারকারা ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশি শরণার্থীদের সাহায্যে এগিয়েও এসেছিলেন। কলকাতায় শরণার্থী শিবিরে গিয়ে উদ্বাস্তুদের দুঃখ-দুর্দশা নিজের চোখে দেখেছিলেন বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ সাংসদ। স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়েও বাংলাদেশ ও ব্রিটিশ সরকারের মধ্যে বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ওই ভিডিও বার্তায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “চলতি সপ্তাহেই কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আমরা আরও ৪০ লাখের বেশি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়েছি। এখনই নিজের, আপনার বন্ধুদের এবং আপনার পরিবারের সবাইকে টিকা নিতে উৎসাহিত করুন।” ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অবদানের প্রশংসা করে জনসন বলেছেন, “কয়েক হাজার অসাধারণ বাংলাদেশি চিকিৎসক ও নার্স দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা কর্মসূচিতে কাজ করে চলেছেন এবং নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সেবা-যত্ন দিয়ে অন্যদের জীবন রক্ষা করছেন। তাদের এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে এবং তাদের নিরাপদ রাখতে আপনারা যা করতে পারেন, তা হল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকার ‘বুস্টার ডোজ’ নিয়ে নিতে পারেন।” ভিডিও বার্তায় তিনি আরও বলেন, “আসুন ব্রিটেন ও বাংলাদেশের মধ্যে আগামী ৫০ বছরের বন্ধুত্বের অপেক্ষায় থাকি। জয় বাংলা।”
