বিজেপি বিধায়ক অভিযোগ করেছিলেন, কর্ণাটকের চিত্রদুর্গ জেলার একটি নির্দিষ্ট এলাকায় জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হচ্ছে। সেই নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়, কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের রিপোর্টে দেখা যায়, বিজেপি বিধায়কের দাবির কোনও অর্থ নেই। কিন্তু বিজেপি বিধায়কের মতের উল্টো পথে হাঁটার কয়েকদিনের মধ্যেই তহশিলদারকে বদলি করে দিল প্রশাসন। প্রশাসনের তরফ থেকে ঘটনাটিকে রুটিন বদলি হিসাবে উল্লেখ করলেও অনেকেই বলছেন, বিজেপি বিধায়কের সুরে না সুর না মেলানোর জন্যই বদলি করা হল সরকারি আধিকারিককে।
চিত্রদুর্গ এলাকার হসাদুর্গের তহশিলদার ওয়াই থিপ্পেস্বামী গত ১ ডিসেম্বর এই ঘটনার একটি রিপোর্ট দাখিল করেন। তিনি সেখানে উল্লেখ করেন, জেলায় কোনও জোর করে ধর্মান্তকরণের মতো ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু তার কয়েকদিন আগেই অন্য অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক গোলিহত্তি শেখর। তাঁর অভিযোগ ছিল তফশিলি জাতি, উপজাতি ও আদিবাসীদের ধর্মান্তকরণ করা হচ্ছে। জোর করে। কিন্তু রিপোর্টে দেখা গেল সেই অভিযোগ ঠিক নয়।
যদিও সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, কোনও নির্দিষ্ট রিপোর্টের জন্য সরকারি আধিকারিককে বদলি করা হয়নি। এটি একটি নিয়মমাফিক বদলি। নির্দিষ্ট নিয়ম মানা হয়েছে। তিনি একই অফিসে গত দু’বছর ধরে কাজ করছেন। তাঁর ধর্মান্তকরণের রিপোর্ট ও বদলির মধ্যে কোনও যোগ নেই।
সূত্রের খবর, শেষ কয়েকসপ্তাহ ধরে নাকি অসুস্থ বোধ করছেন ওই সরকারি আধিকারিক। খাতায় কলমে সেই কারণ দেখিয়েই তাঁর বদলির নির্দেশ এসেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁকে অন্য কোনও স্থানের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। যদিও জেলা প্রশাসন আপাতত সরকারি আধিকারিকের রিপোর্টই মেনে নিয়েছে। পাল্টা ওই বিধায়ক বলেছেন, রিপোর্ট অর্থহীন ও মিথ্যা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের মতো কর্ণাটকেও ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন পাশ করতে চলেছে সে রাজ্যের সরকার। আগামী সপ্তাহেই সেই রিপোর্টের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে কর্ণাটক বিধানসভায়।