বৃহস্পতিবার পুরভোটের প্রচারসভা সারলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই ভাবী কাউন্সিলরদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিলেন তিনি। পাপাশাপাশি শহরবাসীকে একাধিক প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি। বিঁধলেন বিজেপিকেও। রবিবার কলকাতার পুরভোট। আজ কলকাতায় তিনটি নির্বাচনী সভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয় সভাটি ছিল কালীঘাটে। সেখানে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ তথা ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সভা থেকেই ভাবী কাউন্সিলরদের আমজনতার প্রতি তাঁদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। বলেন, “কাউন্সিলররা সবসময় মানুষের মাঝে থাকে। তাঁদের কাজটাই প্রতি মুহূর্তে সকলকে সাহায্য করা। কারও বাড়ির জলের সমস্যা, কোনও সার্টিফিকেট, কিংবা নিকাশির সমস্যা, প্রতি ক্ষেত্রেই কাউন্সিলরদের কাঁধে দায়িত্ব থাকে মুশকিল আসানের। আমি আশা করি কাজরী-সহ সকলেই নিজেদের কাজ করবে।”
উল্লেখ্য, এদিনের সভার শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় ছোট থেকেই রাজনৈতিক ঘরানায় বেড়ে উঠছেন। তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যরা বামপন্থী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিকের স্ত্রী কাজরীর মা ভারতী সেনগুপ্ত সিপিএম নেত্রী। পুরভোটে মেয়ে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ায় দলের কাছে মেয়ের হয়ে প্রচারে অন্তত একবার থাকার অনুরোধ করেছিলেন ভারতীদেবী। কিন্তু তা সম্ভব নয় বলে জানায় দল। এবং সেই নীতি মেনেও নিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, এদিন শহরে পুর পরিষেবার উন্নয়নে বাড়ি বাড়়ি জল সরবরাহ এবং মেট্রোরেল যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিশ্রুতি দেন মমতা। আগামী ২ বছরের মধ্যে ঘরে ঘরে জল পৌঁছে যাবে, এই ঘোষণা করে তাঁর বক্তব্য, “কেন্দ্র জলকর বসানোর জন্য চাপ দিয়েছিল। কিন্তু আমি বলেছি, জলকর বসানো যাবে না। তাই আমি জলকর মকুবও করে দিয়েছি।” আগামী ২ বছরের মধ্যে গোটা কলকাতা শহরে মেট্রোপথে সংযুক্ত হয়ে যাবে। এমনই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।