তৃণমূলের প্রতিনিধিদের আশ্বাস দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন অর্থাৎ আফস্পার অপব্যবহার হবে না। আগামী দিনে তা নিশ্চিত করবে সরকার, এমনই জানালেন তিনি। আফস্পা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করার দাবিতে বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয় তৃণমূল ৭ সাংসদের এক প্রতিনিধিদল। তৃণমূল প্রতিনিধিদের আশ্বাস দিয়েছেন শাহ, আফস্পার অপব্যবহার যাতে না হয়, তা তিনি নিজেই নিশ্চিত করবেন।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার নাগাল্যান্ডে সেনা জওয়ানদের গুলিতে ১৪ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যুর পরই নতুন করে আফস্পা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। নাগাল্যান্ড, মেঘালয়ের মতো রাজ্যগুলি এককাট্টা হয়ে বিতর্কিত এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সরব হয়েছে। নাগাল্যান্ড বিধানসভাতেও আলাদা করে আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রস্তাব পাশ করানো হয়েছে। নাগাল্যান্ড সরকার বিতর্কিত এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কেন্দ্রকে চিঠিও দিয়েছে নাগাল্যান্ড সরকার।
উল্লেখ্য, উত্তর পূর্বে আফস্পা প্রত্যাহারের দাবি জোরাল হতেই তৃণমূল এ বিষয়ে সরব হয়। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবারই দলীয় সংসদদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। অভিষেকের নির্দেশ মতোই বুধবার বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল। যার নেতৃত্বে ছিলেন দলের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়, লোকসভার মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন পাঁচ সাংসদ সৌগত রায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র, সুস্মিতা দেব এবং নাদিমুল হক।
এপ্রসঙ্গে তৃণমূল প্রতিনিধিদের বক্তব্য ছিল, নাগাল্যান্ডের ঘটনার পর আর্মড ফোর্সেস স্পেশ্যাল অ্যাক্ট নিয়ে অনেকের মধ্যেই সংশয় তৈরি হয়েছে। তাই অবিলম্বে এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করুক কেন্দ্র। সূত্রের দাবি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তৃণমূল প্রতিনিধিদের আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী দিনে আফস্পার যাতে অপব্যবহার না হয়, তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর সরকার। শুধু তাই নয়, তৃণমূল প্রতিনিধিদের শাহ আশ্বস্ত করেছেন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে রেয়াত করা হবে না। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে তদন্ত করা হবে।