প্রথমে সুস্মিতা দেব। তারপর লুইজিনহো ফেলেইরো, মুকুল সাংমা। কংগ্রেস ত্যাগ করে গত কয়েক মাসে একের পর এক হেভিওয়েট নেতা যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। মূলত কংগ্রেসত্যাগী নেতাদের উপর ভর করেই একের পর এক রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করছে জোড়াফুল শিবির। গোয়া থেকে শুরু করে মেঘালয়ে এখন বিজেপি বিরোধী শক্তি বলতে তৃণমূলই। সূত্রের খবর, ফের কংগ্রেসে ভাঙন ধরতে চলেছে। দুই ডাকসাইটে কংগ্রেস নেতা বেশ কিছু দিন ধরেই যোগাযোগ রাখছেন তৃণমূলের সঙ্গে। জল্পনার কেন্দ্রে রয়েছে আইনজীবী কপিল সিব্বল এবং বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আগাদ। তবে এর বাইরে অন্য কোনও নেতাও নাম লেখাতে পারেন তৃণমূলে। বিজেপি বিরোধিতা, ইউপিএ সহ নানা ইস্যুতে কংগ্রেস-তৃণমূলের ফাটল মাসকয়েক যাবৎ প্রকাশ্যে আসছে। তৃণমূলের মুখপত্র জাগোবাংলা কংগ্রেসকে আক্রমণ করে একাধিক সম্পাদকীয় বেরিয়েছে। স্বয়ং মমতাও প্রকাশ্যে কংগ্রেসের সমালোচনা করেছেন।
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখানোর ক্ষেত্রে যাদের নিয়ে জল্পনা চলছে, তাঁদের মধ্যে একদম প্রথমে রয়েছেন কাশ্মীরের কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। সংখ্যালঘু মুখ গুলাম বিক্ষুব্ধ জি-২৩ গোষ্ঠীর অন্যতম মুখ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “রাজনীতিতে কী হবে, তা কেউ বলতে পারে না।” তার পর থেকে তাঁর দলবদল নিয়ে জল্পনা চলছে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ইন্দিরা ও রাজীব গান্ধীর আমলে কোনও ভুল হলে সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারতাম। সমালোচনা করতাম। আর আজকের নেতারা সমালোচনা করলে আক্রমণাত্মক বলে মনে করেন।”
পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে নিয়েও জল্পনা চলছে। তৃণমূলের হয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা লড়েছেন কপিল। মমতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যথেষ্ঠ ভালো। একাধিক বার বর্তমান নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। দলের সাংগঠনিক খোলনলচে বদলানোরও দাবি বহুবার তুলেছেন কপিল। আগস্টে জন্মদিন উপলক্ষে সিব্বলের ডাকা নৈশভোজে গান্ধী পরিবারের কেউ যাননি। বরং বিক্ষুব্ধ নেতাদের অনেকেই এসেছিলেন সেখানে। যদিও সম্প্রতি তৃণমূলের ইউপিএ নিয়ে তোপের পর কংগ্রেসের পক্ষে সওয়াল করেছেন কপিল। তবে তাতেও তাঁর দলবদলের সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।