তেমন পরিবর্তন নেই আবহাওয়ায়। শনিবারের মতো রবিবারও সকাল থেকে মেঘাচ্ছন্ন দীঘার আকাশ। উত্তাল সমুদ্রও। সকাল থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টিও হচ্ছে। সমুদ্রতটে পর্যটকদের ঘোরাফেরা করতে দেখা গেলেও ভিড় অনেকটাই হালকা। আবহাওয়া খারাপ থাকায় আর পাঁচটা সপ্তাহান্তের ছুটির দিনের চেনা ছবি আজ চোখে পড়েনি। প্রসঙ্গত, ‘জওয়াদ’-এর আতঙ্ক কাটলেও আরও একটা আতঙ্ক কিন্তু এখনও যায়নি। তা হল অমাবস্যার ভরা কোটাল। রবিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ কোটালের কারণে জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সমুদ্রতট বা গার্ডওয়ালের আশপাশে যেন পর্যটকরা না যান, সে দিকে নজরদারি চালাচ্ছে দীঘা পুলিশ। একই সঙ্গে পর্যটকদের সতর্ক করে মাইকে প্রচারও চালানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সমুদ্র স্নান করতে গিয়ে বা গার্ড ওয়ালের ধারে জলোচ্ছ্বাসের মজা নিতে গিয়ে কোনও প্রাণহানি যাতে না ঘটে সে দিকে কড়া নজর রাখছে স্থানীয় প্রশাসন।
উল্লেখ্য, কোটালের কারণে দীঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমণি-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলের নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হতে পারে। তাই আগে থেকেই ওই সব এলাকা থেকে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শনিবারই দীঘা-সহ আশপাশের এলাকাগুলি সরেজমিনে ঘুরে দেখে গিয়েছেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর শনিবারই জানিয়েছে যে, ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’-এর প্রভাব এ রাজ্যে পড়বে না। তা ছাড়া এই ঝড় উড়িষ্যা উপকূলে আছড়ে পড়ার আগেই দুর্বল হয়ে গভীর নিম্মচাপে পরিণত হবে। তার পরে সেটি বাংলার দিকে অগ্রসর হবে। তবে এর জেরে শনিবার থেকেই গাঙ্গেয় বাংলায় হালকা থেকে মাঝারি এবং কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার পর্যন্ত এই বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
