বাড়ল পদ্মশিবিরের অস্বস্তি। শনিবার বাবুল সুপ্রিয়র দলবদলের পর ফের বেসুরো রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। দলবদলের ইঙ্গিতও দিলেন তিনি। তাঁর মন্তব্য, “কে কোথায় অসম্মানিত বোধ করছেন, দেখতে হবে দলকে। যাঁরা দল ছাড়ছেন, তাঁরা অসম্মানিত হয়েই ছাড়ছেন। দলকে সময় দিয়েছি, কাজ না হলে অন্য কিছু ভাবতে হবে।” স্বভাবতই তাঁর এই মন্তব্য বঙ্গ বিজেপির দুশ্চিন্তা আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে সাংবাদিক বৈঠক করে সমস্ত রকম দলীয় কর্মসূচী থেকে বিরত থাকার বার্তা দিয়েছিলেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক। তবে বিধায়ক হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি। উত্তর দিনাজপুর জেলার বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকারের সঙ্গে মতভেদের কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলেও জানান। এর পাশাপাশি রায়গঞ্জের বিধায়ক তোপ দাগেন দলীয় সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধেও।
কৃষ্ণ অভিযোগ তোলেন, রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী ষড়যন্ত্র করে ভোটে হারাতে চেয়েছিলেন তাঁকে। দেবশ্রী চৌধুরীর ইচ্ছে ছিল, বিধানসভা ভোটে রায়গঞ্জ থেকে দাঁড়ানো। দেবশ্রী মনে করেছিলেন তিনি বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ। যদিও দেবশ্রী চৌধুরী এর উত্তরে বলেছিলেন, “সদ্য বিজেপিতে ঢুকেছেন। আমি ৭ দিন বা ৭ মাসের জন্য দল করি না। ৩২ বছর ধরে সংগঠনটা করছি। আমি জানি কীভাবে সংগঠন করতে হয়। উনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন।”হএই পরিস্থিতিতে বিতর্ক থামানোর চেষ্টা করেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেন, “উনি সদ্য দলে এসেছেন। তাই সব নিয়ম জানেন না। আস্তে আস্তে শিখে নেবেন।” কৃষ্ণ কল্যাণী পাল্টা উত্তর দিয়ে বলেছিলেন, “শেখাতে চাইলে শিখতে রাজি । তবে আত্মসম্মানে আঘাত দিলে প্রতিবাদ করব। সাংসদ মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন, ভারসাম্য হারিয়েছেন। ৩২ বছর রাজনীতি করলেও ৩ বছর ধরে চিনি। নির্বাচনের পর থেকেই ওনার খোঁজ নেই।”