এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘যেহেতু আমাদের কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাই আমরা উদ্বেগের সঙ্গে ত্রিপুরা ছুটে গিয়েছিলাম। জানতে চেয়েছিলাম কোন কোন ধারায় মামলা করা হয়েছে। কারণ আমাদের সেটা জেনেই আইনজীবী ঠিক করতে হত।’
এরপরই হামলার ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, – ‘তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে পুলিশের কনভয় ছিল। তাহলে পুলিশ তাদেরকে ওই জায়গায় নিয়ে গেল কেন? পুলিশই নিয়ে গেল আবার তারাই নাইট কার্ফু ভেঙেছ কেন বলে গ্রেপ্তার করে নিল। পুলিশ ফাঁদে ফেলে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে, আমরা সেটা নিয়েই তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।’ পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার কোনও চেষ্টা করা হয়নি বলেই দাবি তাঁর।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের ছয় নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সকালে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই একের পর এক ট্যুইট করে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
শুধু তাই নয়, ত্রিপুরা পুলিশকে ছিঁচকে চোরের সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনেও সেই একই প্রশ্ন তুললেন তিনি। যদি সত্যিই পুলিশের কাজে বাধা দিয়ে থাকতো তৃণমূল, তাহলে রবিবার আদালতে কেন বলা হল না? পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মিথ্যে অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করতে হল কেন?
হামলায় যারা আক্রান্ত হলেন, এমনকী এক পুলিশকর্মীর চোখেও আঘাত লাগে। ওই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। কুণালের অভিযোগ, ‘ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল বিজেপির কর্মীরা। আমরা তাদের ছবি দেখিয়ে পুলিশকে বলেছি গ্রেফতার করতে। এরপর অভিষেকের সমন্বয়ে আমরা আমাদের ছেলেদের নিয়ে কোর্টে গেলাম। অভিষেক ওখানে থাকল। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আপনারা তো সবই দেখেছেন।
পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া হল কোথায়? সবচেয়ে বড় কথা, যদি সত্যিই কোনও অভিযোগ থাকত, সেদিন কোর্টে কেন বলা হল না? সরকারি আইনজীবী, যিনি বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন। তিনি এ বিষয়ে কিছু বলেননি সেদিন। তার ৪৮ ঘণ্টা বাদে অভিযোগ আনা হচ্ছে, এটা হাস্যকর।’ এদিন আরও একটি বিষয় উল্লেখ করেন কুণাল। তাঁর দাবি, সেদিন খোয়াই থানার ভেতরে কি ঘটেছে, তা দেশের প্রায় সমস্ত মিডিয়াতে লাইভ টেলিকাস্ট হয়েছিল। দেশের সাধারণ বাসিন্দারাই ঠিক করবেন, তৃণমূল নেতারা পুলিশকে বাধা দিয়েছিল কি না!
কুণাল ঘোষের অভিযোগ, ত্রিপুরা পুলিশ ধৃত তৃণমূল নেতাদের জল দেয়নি, খাবার দেয়নি। শুধু প্রেশার মেপে ছেড়ে দিয়েছে। অথচ সুদীপের মাথায় অত বড় একটা চোট, তার চিকিৎসাটুকু করেনি। এইসব নিয়েই সেদিন পুলিশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
কুণাল বলেন, – ‘আমরা শুধু আইনজীবীদের আসা পর্যন্ত সময় চেয়েছিলাম। বাইরে সেই সময় তাণ্ডব দেখাচ্ছিলো বিজেপির কর্মীরা। আমরা তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাই। মহামারী আইন কি শুধু তৃণমূলের জন্য? সাহসের সঙ্গে সেই প্রশ্নটা করেছিলাম। বিজেপি মারমুখী হয়ে স্লোগান দিচ্ছিল জমায়েত করে। তাদের বিরুদ্ধে কি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? সেই প্রশ্ন টুকুই করা হয়েছিল। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া হয়নি।’