তিনি জননেত্রী। কাঁচের ঘরে নয়, রাস্তায় নেমে এসে আমজনতার সঙ্গে মিশে যাওয়াই তাঁর স্বভাবসুলভ আচরণ। সোমবারও তাঁর ব্যতিক্রম হল না। রাঢ় অঞ্চলের ঝাড়গ্রামে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের শুভ সূচনায় গিয়ে এদিন আদিবাসী নৃত্যের তালে পা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাজালেন ধামসা-মাদল। হাতে তুলে নিলেন খঞ্জনিও।
এদিন ছিল বিশ্ব আদিবাসী দিবস। জঙ্গলমহলের সেই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনায় ঝাড়গ্রামে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়াম ছিল সেই অনুষ্ঠান। হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাও। তবে ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মঞ্চে না উঠে, প্রথমে আদিবাসী নৃত্যের তালে মেতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের সঙ্গে মিশে যান। মুখ্যমন্ত্রীকে ঐতিহ্যবাহী ‘পাঞ্চি’ শাড়ি দিয়ে স্বাগত জানায় আদিবাসী সমাজ। তাঁদের গানও মন দিয়ে শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। আদিবাসী সমাজের বীর শহিদ সিধু-কানহুর ছবিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এদিন মমতার সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, মানসরঞ্জন ভুঁইয়া।
লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি তৃণমূল। বরং ফুটেছিল পদ্মফুল। জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে জাঁকিয়ে বসেছিল বিজেপি। কিন্তু বিধানসভা ভোটে সেই পরিস্থিতিতে বদল ঘটে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশাহত করেনি জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা। ভোট মেটার পর এই প্রথম জঙ্গলমহলে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর প্রথম দিনই সেখানকার মানুষের মন জয় করে নিলেন তিনি। নিজের জননেত্রীসুলভ আচরণের মাধ্যমে মন করে নিলেন আমজনতার। আদিবাসী ঐতিহ্যকে সম্মান জানানোর পাশাপাশি মানুষকে বুঝিয়ে দিলেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রী হতেই পারি, কিন্তু আমি তোমাদেরই লোক’।