সোমবার ত্রিপুরায় পা রাখতে চলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনি ও রবিবার ত্রিপুরায় কঠোর করোনা বিধি-নিষেধ জারি থাকার কারণে সফর পিছিয়ে দিতে হয়েছিল অভিষেককে। অবশেষে সোমবার তিনি যাচ্ছেন আগরতলা। তৃণমূল সূত্রে খবর, আগরতলায় পা রেখেই অভিষেক যাবেন বিখ্যাত মাথাবাড়ি মন্দিরে।
কথিত আছে, ত্রিপুরার যে কোনও ভালো কাজ শুরু হয় ত্রিপুরেশ্বরীর আশীর্বাদ নিয়ে। তাই ত্রিপুরায় জাঁকিয়ে বসার আগে তৃণমূলও নতুন করে ত্রিপুরায় যাত্রা শুরু করছে মাথাবাড়ি থেকেই। তৃণমূলের ত্রিপুরার নেতারা জানাচ্ছেন, স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন অভিষেক। নেবেন বুথ রিপোর্ট। সেই অনুযায়ী পথ এগোনোর পরবর্তী নির্দেশ দেবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
সূত্রের খবর, আই প্যাক কর্মীদের ত্রিপুরায় হোটেলবন্দী করে রাখার পর তৃণমূলের তরফে আর কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নন অভিষেক। তাই দলীয় নেতাকর্মীদের কোভিড প্রোটোকল মেনে চলারই নির্দেশ দেবেন তিনি। ত্রিপুরার সংগঠনে ঝাঁকুনি দিয়ে নতুন মুখও তুলে আনতে পারেন তিনি। বস্তুত, তৃতীয় বার বাংলায় ক্ষমতায় আসা ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে বসার পরই অভিষেক জানিয়েছিলেন, তৃণমূল ভিনরাজ্যে যেখানেই যাবে, ভোট শতাংশ কাটার জন্য যাবে না। বরং সরকার গড়া বা সরকার গঠনে বড় ভূমিকা নিতেই যাবে তাঁরা। কিন্তু ত্রিপুরায় এখন থেকেই ক্ষমতা দখলের স্বাদ পাচ্ছে তৃণমূল। সেই সূত্রেই অভিষেকের সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
ত্রিপুরায় যেভাবে আঁটঘাঁট বেঁধে নামছে এ রাজ্যের শাসক দল, তাতে ‘খেলা’ যে শুরু হয়ে গিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। বিজেপি শাসিত রাজ্যে ক্রমেই কোমর বেধে নামছে তৃণমূল। আর তাতে ঘৃতাহুতি দিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের কর্মীদের ত্রিপুরা সরকারের হাউজ অ্যারেস্ট করে রাখার ঘটনা। আইপ্যাকের কর্মীদের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ করতে গিয়ে ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গায় গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মীকে। আর এমনই এক পরিস্থিতিতে সোমবার ত্রিপুরায় পা রাখছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।