আগরতলায় বন্দী থাকা পিকের টিমকে উদ্ধারে ত্রাতা হয়ে পৌঁছেছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। সে রাজ্য পা রেখেই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ত্রিপুরা থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ থাকা সত্ত্বেও মিথ্যা মামলায় আটকে রাখা হয়েছে পিকের টিমের সদস্যদের। স্বৈরাচারীর মতো আচরণ করছে ত্রিপুরা সরকার।’ কেন আইপ্যাকের সদস্যদের আটকে রাখা হয়েছে? প্রশ্ন তোলের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকও।
বুধবার আগরতলার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা সম্মিলিতভাবে ত্রিপুরা সরকারের সমালোচনা করেন। বলেন, ‘ত্রিপুরাতেও খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি ভয় পাচ্ছে। তাই তারা এসব করছে। গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে’। এর পরই বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, ‘আমরা দলনেত্রীর নির্দেশে এখানে এসেছি। আইপ্যাকের দলের সঙ্গে কথা বলব। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলব। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলব। প্রয়োজনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আসবেন’। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মলয় ঘটক বলেন, ‘আমরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এখানে এসেছি। গোটা ঘটনায় তিনি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।’ পাশাপাশি ত্রিপুরা সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তৃণমূল নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গণতন্ত্রে বিরোধীদের কথাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক এই যে ত্রিপুরাতে তা ব্যাহত হচ্ছে।’
আপাতত হোটেলেই ‘গৃহবন্দী’ থাকতে হবে আইপ্যাকের সদস্যদের। ফলে আগরতলা পৌঁছেও আইপ্যাক কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে পারেনি তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তার মধ্যেই এবার ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের ২৩ জন কর্মীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে উদ্যোগী হল আগরতলা পুলিশ। ১ আগস্ট, রবিবার তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে আগরতলা পুলিশ। পুলিশের সামনে হাজিরা না দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।