তিনবছর পরেই লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু এখন থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করতে হবে৷ এ দিন দিল্লীর মাটিতে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের একজোট করা প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দিল্লীতে তাঁর সাক্ষাৎপ্রার্থীর তালিকা দীর্ঘ৷ তার মধ্যে যেমন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল রয়েছেন, সেরকমই রয়েছেন জাভেদ আখতার, শাবানা আজমিরাও৷ যদিও বিজেপি বিরোধী জোটের নেতৃত্ব কে দেবেন তা নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, “দেশ নেতৃত্ব দেবে, আমরা শুধু অনুসরণ করব৷” বিরোধীদের এক ছাতায় তলার নিয়ে আসার বিষয়েও তিনি কতটা আশাবাদী, এই প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা আশাবাদী বলেই তো একসঙ্গে এগোচ্ছি৷” তবে মমতা ইঙ্গিত দিয়েছেন, আপাতত বিরোধীদের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোর কাজ সেরে রাখলেও করোনা অতিমারী মিটলেই বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের কাজে আরও তৎপরতা চান তিনি৷
মমতার এবারের দিল্লী সফর যে আসলে বিরোধীদের একজোট করার লক্ষ্যেই, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন জানিয়েছেন, বুধবার সকালে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করবেন তিনি৷ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও সময় চেয়েছেন৷ সম্ভবত বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হবে মমতার৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন কবি, গীতিকার জাভেদ আখতার এবং শাবানা আজমিও তাঁর সঙ্গে দেখা করতে সময় চেয়েছেন৷ তাঁদের সঙ্গেও দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তবে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে তাঁর বৈঠক করার বিষয়ে কোনও কথা হয়নি বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এ দিনই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতা কমল নাথ এবং আনন্দ শর্মাও দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে৷
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকেও যে তিনি পাখির চোখ করছেন, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা ৷ তিনি বলেন, “২০২৪-এর এখনও দেরি আছে৷ এখন থেকেই তার পরিকল্পনা করতে হবে৷ কিন্তু তার আগে উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, ত্রিপুরার মতো বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচন আছে৷ এই তো ত্রিপুরায় আমাদের ছেলেদের গৃহবন্দি করে রাখা হল৷” প্রসঙ্গত, রবিবার থেকে আগরতলার একটি হোটেলে তৃণমূলের হয়ে সমীক্ষার কাজ করতে যাওয়া আইপ্যাক-এর কয়েকজন কর্মীকে আটকে রেখে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে ত্রিপুরা পুলিশের বিরুদ্ধে৷ এ দিন দিল্লীতেও সেই প্রসঙ্গ তুলে মমতা বুঝিয়ে দিলেন, ত্রিপুরাকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।