পেগাসাস বিতর্কে বৃহস্পতিবার উত্তাল হয়েছিল সংসদ। অভিযোগ, রাজ্যসভায় এই নিয়ে বিবৃতি পাঠ করতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। অভিযোগ, মন্ত্রীর হাত থেকে বিবৃতির কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে তা ছিঁড়ে ফেলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। ঘটনার জেরে শান্তনুকে সাসপেন্ড করতে আজ রাজ্যসভায় রচিত হল একটি কুনাট্য।
দিনের কার্যাবলী বা লিস্ট অফ বিজনেসে নথিভুক্ত না করেই সরকারের তরফে শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করতে প্রস্তাব পেশ করে বিজেপি। কোন আলোচনা না করেই তাতে সায় দিয়ে দেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। শান্তনু সেনকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয় না। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রতিবাদ জানালে তাঁকেও বলতে দেওয়া হয়না। এরপর দফায় দফায় মুলতুবি হয় রাজ্যসভার কার্যপ্রণালী। প্রথমে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আর তারপর দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর অভিযোগ, অধিবেশন মুলতুবি হওয়ার পর নাকি তাঁকে ডেকে অপমান করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। শুধু তাই নয়, শান্তনুর অভিযোগ, তাঁকে হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে এই বিষয়ে শান্তনু সেন দাবি করেন, তাঁ বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ উঠুক কি তাঁকে সাসপেন্ড করার দাবি করা হোক, তিনি তা নিয়ে চিন্তিত নন।
শান্তুনুকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার কাগজ ছেঁড়ার ঘটনার পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী নিজের আসন ছেড়ে শান্তনুর দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন। অসংসদীয় বাক্যও প্রয়োগ করেছিলেন। ডেরেকের প্রশ্ন, ‘অন্য অভিযুক্ত (হরদীপ) কেন ছাড় পেলেন?’ তৃণমূল-সহ বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে শুক্রবারও মুলতবি হয় রাজ্যসভার অধিবেশন।