একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। এবার তাদের পাখির চোখ ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। আর সে দিকে নজর রেখেই ‘মেকওভার’ শুরু হয়ে গিয়েছে দলে। এবার যেমন ‘মেকওভার’ হতে চলেছে দলের দৈনিক মুখপত্রের। আজ ২১ জুলাই থেকেই তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলা দৈনিকে পরিণত হতে চলেছে। কাগজটির সম্পাদক তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ, আজ ২১-এর দুপুরে কাগজের নতুন আত্মপ্রকাশ ঘিরে দলের নেতাদের তৎপরতা তুঙ্গে। কুণাল ঘোষ বেশ কয়েকটি টুইট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, ঠিক কেমন হতে চলেছে এই কাগজের লুক অ্যান্ড ফিল।
একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘এবার শপথ চলো দিল্লী। লিখছেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। কর্মীরাই তৃণমূল কংগ্রেসের আসল সম্পদ। এখন দলের লক্ষ্য কী? কেমন হবে কর্মীদের আচরণবিধি? সবিস্তারে দেখুন “জাগো বাংলা”য়। আজ থেকে দৈনিক। প্রকাশ আজ দুপুরে। উদ্বোধক দিদি।” তার ঠিক পরের টুইটেই কুণাল ঘোষের বার্তা, “দুর্ভেদ্য দুর্গের মত সংগঠন। লিখছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিস্তারিত দেখুন “জাগো বাংলা”য়। আজ থেকে দৈনিক। প্রকাশ দুপুরে। উদ্বোধক জননেত্রী।” এই সিরিজের শেষ টুইটে তিনি লিখেছেন, “মমতার কলম ছাড়া সম্পূর্ণই হত না।” লিখছেন “জাগো বাংলা”র সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আজ থেকে দৈনিক। প্রকাশ আজ দুপুরে…।”
এর থেকেই স্পষ্ট যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনের কথা বা রাজনৈতিক অভিসন্ধিই ফুটে উঠবে জাগো বাংলার পাতায়। কাজেই বলা চলে, শুধু সমর্থকদেরই নয়, জাগো বাংলায় নজর থাকবে মমতা বিরোধী শিবিরেরও। সূত্রের খবর, ঢেলে সাজানো হয়েছে জাগো বাংলাকে। মুদ্রিত কাগজের পাশাপাশি থাকছে ই-পেপার। শুধু রাজনৈতিক খবর নয়, থাকবে বিনোদন, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, কেরিয়ার, ভ্রমণ ও ফিচার কপি। পাঠক হিসাবে টার্গেট করা হবে গোটা দেশ তথা বিশ্বের বাঙালিদের। এ রাজ্যের পাশাপাশি থাকবে জেলার খবর, দলের প্রতিদিনের কর্মসূচী এবং তা নিয়ে খবর, প্রবন্ধ, দলের সাংসদ-বিধায়কদের লেখা। প্রতিদিন আলাদা আলাদা বিষয় নিয়ে থাকবে ফিচার পাতা। শনি ও রবিবার বিশেষ ক্রোড়পত্র। খেলার পাতাকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হবে।