বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ক্ষমতায় ফিরলেই স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড চালু করবেন তিনি। সেই প্রতিশ্রুতি মতো ইতিমধ্যেই সেই প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যে কার্ড দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে ছাত্র ছাত্রীরা। দশম শ্রেণী থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়ারাও এই কার্ডের সুবিধা পাবেন। এর জন্য ব্যাঙ্কে কোনও গ্যারান্টার লাগবে না। সরকারই হবে এর গ্যারান্টার।
বুধবার কার্ড উদ্বোধনের পর নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলনে বসে মুখ্যমন্ত্রী বলছিলেন, ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করতে পেরে আমরা গর্বিত। আমরা ভোটের আগে কথা দিয়েছিলাম। দেশে তো বটেই, সারা বিশ্বে এত বড় প্রকল্প এই প্রথম। কথা রাখাটাই আমাদের কাজ।’ শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাচ্চাদের পড়াশুনার জন্য আর বাবা মাকে চিন্তা করতে হবে না। টাকা পয়সার কথা না ভেবে মন দিয়ে পড়াশুনা করুন। অভিভাবকদেরও বলব আর চিন্তা করবেন না। আমরা কথা দিয়েছিলাম কথা রাখলাম।’
রাজ্যের পড়ুয়াদের ভবিষ্যত গড়াতেই যে বিশেষ ভাবে জোর দিতে চাইছে সরকার, তা মুখ্যমন্ত্রীর কথা থেকেই পরিষ্কার। এবার দেখা গেল স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের যে গাইডলাইন প্রকাশ করেছে রাজ্য, তাতে ফর্ম ফিল আপের খুঁটিনাটি বোঝানো হয়েছে উদাহরণ দিয়ে দিয়ে। আর তাতেই গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই এবং বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি এলোন মাস্কের ছবি ব্যবহার করেছে রাজ্য। আসলে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের জন্য ফর্ম ফিল আপের সময় পড়ুয়াদের যেখানে নিজেদের ছবি আপলোড করতে হবে, সেখানেই উদাহরণ হিসেবে এই দুজনের ছবি দেওয়া হয়েছে সরকারি গাইডলাইনে।
প্রসঙ্গত, সুন্দর পিচাই এলোন মাস্ক, দুজনেই নিজেদের কেরিয়ারে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছেছেন। আইআইটি খড়গপুর থেকে পড়াশোনা করেছিলেন গুগল সিইও। আজ তিনি গোটা বিশ্বের কাছেই পরিচিত নাম। আর স্পেস এক্সের সিইও এলোন মাস্ক তো জায়গা করে নিয়েছেন সারা পৃথিবীর ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায়। জীবনে চূড়ান্ত সফল এই দুই ব্যক্তির ছবি আর সই স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের ফর্মের ডেমোতে ব্যবহারের মাধ্যমে রাজ্যের পড়ুয়াদের সফল ভবিষ্যত কামনা করেছে রাজ্য সরকার। তেমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে সেই বার্তাই দিতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও।