কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে আগেই ‘কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি’র নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে ইতিমধ্যে দুটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে রাজ্য। প্রশাসন এমন কোমড় বেঁধে নামতেই এবার কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে পুলিশের জালে আরও এক। বিরাটি থেকে গ্রেফতার হয়েছেন অশোক কুমার রায় নামে এক ব্যক্তি। বুধবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, জাল টিকা কেলেঙ্কারির মূল পাণ্ডা দেবাঞ্জন দেবকে অফিস ভাড়া দিয়েছিলেন অশোকবাবু। কসবার এই অফিসের মালিক তিনিই। পাশাপাশি দেবাঞ্জনের জালিয়াতির শিকার বিরাটির বাসিন্দা অশোক কুমার রায়। তাঁরও বেশ কয়েকজন আত্মীয়কে কসবার ক্যাম্প থেকেই ভুয়ো করোনা টিকা দেওয়া হয়ে বলে অভিযোগ। অশোককে আজ আদালতে পেশ করা হতে পারে।
সূত্রের খবর, ওই দিন কসবার ভুয়ো টিকা শিবিরে তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে টিকা নিয়েছিলেন অশোকের আত্মীয়, বন্ধু-সহ প্রায় ৫০ জন। আরও জানা গিয়েছে, এই অফিসের ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে দেবাঞ্জনের থেকে ৬৫ হাজার টাকা পেতেন অশোকবাবু। তবে পুলিশের অনুমান, অশোকবাবু জালিয়াতি কাজকর্মের কোনও আঁচই পাননি। বরং তদন্তকারীরা মনে করছেন, তিনি সবই জানতেন। হয়ত এসবের সঙ্গে পরোক্ষভাবেব জড়িত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এর আগে কসবা কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জনের খুড়তুতো ভাই কাঞ্চন দেব এবং স্বাস্থ্যকর্মী শরৎ পাত্রকে। এই শরৎ পাত্রই কসবার ক্যাম্পে তৃণমূল সাংসদকে ভুয়ো টিকা দিয়েছিলেন। তাঁকে জেরা করে জানা গিয়েছে, দেবাঞ্জনের নির্দেশে তিনিই বিভিন্ন ক্যাম্পে ঘুরে ঘুরে ইঞ্জেকশন দিতেন। আর দেবাঞ্জনের কুকীর্তির শরিক কাঞ্চন দাদার মতোই কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক আধিকারিকের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে কাজ চালিয়েছিলেন।